সঙ্গীত” কথাটির সাথে বাংলার মানুষ আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে আছে। সঙ্গীত মানব সভ্যতার একটি বড় আবিষ্কার। সঙ্গীত একাকিত্বের সঙ্গী। সেই সঙ্গীতের প্রেমে পড়ে ছোট একটি চারাগাছ রোপন করা হয়েছিলো আজ থেকে ২৯ বছর আগে। যে চারাগাছটির নাম ছিলো “সঙ্গীতাঙ্গন” আজ সেই চারা গাছটি তিল থেকে তালে রুপ নিয়েছে। রেখেছে সংস্কৃতি অঙ্গনে বড় অবদান। স্বার্থহীন ভাবে শ্রমজল দিয়ে সঙ্গীতকে করেছে সঙ্গায়িত। দিয়েছে বাংলা সঙ্গীতের নতুন রুপ। বিচরণ করেছে সঙ্গীতের নানা শাখায়। চেষ্ঠা করেছে সঙ্গীতের মন্ত্র মুকুট হয়ে সঙ্গীতের রাজত্বে বসবাস করতে। জানিনা সফলতা কত দূর পৌছেছে। আশা করি আমরা আরো ভালো কিছু নিয়ে বাংলা সঙ্গীত তথা বাংলা সংস্কৃতিকে আরো এগিয়ে নিতে পারবো।
সঙ্গীতাঙ্গন দেশের প্রথম সঙ্গীত বিষয়ক পত্রিকা হিসেবে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই উপহার সকল সঙ্গীতশ্রোতাদের, আপনাদের ভালবাসার। আজ ৩১শে মে ২০২০ সঙ্গীতাঙ্গন অনলাইনে আট বছরে পদার্পন করলো, নতুন বছরে আমরা আরও শক্তভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম সামনে এগিয়ে যাবার। গত বছরগুলোতে ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ পত্রিকার পাশাপাশি একক সিডি ও মিউজিক ভিডিও প্রকাশনা করেছে। সবার জন্য উন্মুক্ত একক সঙ্গীতাঙ্গনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে একাধিকবার বাংলাদেশ জাদুঘর ও শিল্পকলা একাডেমিতে। এবছরও করোনায় যখন বিশ্ববাসী আতঙ্কিত সংস্কৃতির উপর যখন নিন্মচাপের সৃষ্টি হলো। তখন সঙ্গীতাঙ্গন অনলাইনের মাধম্যে সঙ্গীতের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে। সব ধরণের সঙ্গীতের বিনোদন দিতে চেষ্ঠা করছে। এছাড়াও ‘গানে গানে বাংলাদেশ’ শিরোনামে নিয়মিতভাবে সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চুড়ান্ত পর্বে নিয়ে বেশ ঝাকজমক অনুষ্ঠানের মাধম্যে শেষ করেছে। আশা করছি বরাবরের মত আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন। আপনাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।
সঙ্গীতাঙ্গন এর সাথে থাকুন এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে সাড়া বিশ্বে ছড়িয়ে দিন। সবার শুভ কামনায় – সঙ্গীতাঙ্গন।