– কবি ও কথাসাহিত্যিক রহমান ফাহমিদা।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য!- কথাটির বাস্তবতা উপলদ্ধি করার সময় এসেছে! সমগ্র পৃথিবী আজ স্থবির হয়ে পড়েছে এক অদৃশ্য ভাইরাসের কারণে। এই ভাইরাসের কারণে উন্নত/অনুন্নত সকল দেশ আজ একই কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি দেশে মৃত্যুর মিছিল! সেই মৃত্যুর মিছিলে বাংলাদেশের মানুষও শরিক হচ্ছে। সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন, বাংলাদেশের মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য। মাঝে মাঝে অবশ্য কিছু অবিবেচক মানুষের জন্য সরকার থেকে অনেক ত্রাণ, ঠিকমত সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছেনি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই দিকেও দৃষ্টি এড়ায়নি! তিনি পরবর্তীতে তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। তবে কথা হল, শুধু সরকারের আশায় বসে থাকলেতো চলবে না! আমাদেরও, সাধারণ মানুষের সেবায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন। কেননা, লকডাউন হওয়ার কারণে যারা দিন আনে দিন খায়! তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। অনেকে হয়তো না খেয়ে দিন যাপন করছে। ঠিকমত ত্রাণও হয়তো পাচ্ছে না! কারণ তাঁরা বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে পড়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতো তাঁদের ডিউটি করে যাচ্ছে, করোনা ভাইরাস ঠেকানোর জন্য! তাঁদেরতো দোষারোপ করা যায় না। তাদের কাজ, তারা করছেন। তারপরেও করোনা ভাইরাস বর্তমানে বাংলাদেশে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে চারটি জেলা বাদে সকল জেলায় করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। যে চারটি জেলায় আক্রান্ত হয়নি এখন পর্যন্ত! সেই জেলাগুলো হল পার্বত চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং সাতক্ষীরা ও নাটোর। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা চিন্তা করে এবং সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ পত্রিকার পক্ষ থেকে এগিয়ে এসেছে ‘এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন’ দেশ ও দেশের মানুষের আর্তমানবতার সেবায়। তাই এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন এর সদস্যসহ, দেশের অন্যান্য বিত্তবান যারা আছেন তাদেরসহ সঙ্গীত জগতের শিল্পীবৃন্দকে এই আর্তমানবতার সেবায়, যে যতটুকু পারেন, নিজ সাধ্যমত এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান করছে, সঙ্গীতাঙ্গন। বর্তমানে ৫৫ দিনের এই লকডাউনে সমগ্র পৃথিবীতে মৃত্যুর হার ২লাখ ৬০হাজার এবং আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ লাখ ৯৭হাজার। তাই আসুন সবাই মিলে আমরা, আমাদের দেশের মানুষকে বাঁচাই।
সঙ্গীতাঙ্গন এর ‘এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন’ ফান্ডে আপনার সহযোগিতার যেটুকু সম্ভব পৌঁছে দিতে পারেন বিকাশ বা ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে। নীচের লিংকটি ক্লিক বা কপি করে আপনার ফেসবুক দিয়ে পেইজটি দেখার অনুরোধ রইলো। এ পর্যন্ত এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন মোট ৬৪জন বাদ্যযন্ত্রশিল্পী পরিবারের কাছে সাহায্য পাঠাতে সক্ষম হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে। এই অসময়েই এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন এর জন্ম তাই অনেকের কাছেই এই সংগঠনের খবরাখবর পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না তার কারন এই সময়ে সবাই যার যার জায়গা থেকে কিছু না কিছু করে যাচ্ছেন। তাই এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন এর ফান্ড খুবই অল্প তবুও তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং তারা অন্যান্য সংগঠনের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন, আশ্বাস পেয়েছেন কিন্ত এখনও সাহায্য আসেনি। এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন যাদের কাছে এই সাহায্য পৌছে দিয়েছে তাদের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে অমর্যাদা করতে আগ্রহী নয় ঠিক তেমনি যারা সহযোগিতা করে এই দুঃসময়ে তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন তাদের কথাও উল্লেখ না করতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সঙ্গীতাঙ্গন কি মনে করেন, একটু ভাবতে আপনাদের সাহায্য করি। আমাদের দেশে কিনা ঘটতে পারে একটি উদাহরনই যথেষ্ট, স্বাধীনতার সময়ের পর থেকেই একটি কথা শুনে আসছি (ছোট করে বলছি)। ত্রানের জন্য যে কম্বল এসেছিল সেই কম্বল গেল কোথায় ? (আর এখন) গরীবের চাল কোথায় যায় ? আমরা সবাই এইসব ঘটনা সম্পর্কে জানি তাই এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গনও এই ব্যাপারে খুবই পরিস্কার থাকতে চায়। যাদেরকে সহযোগিতা করা হয়েছে তাদের কথা উল্লেখ করলে তাদের ছোট করা হবে ঠিক আছে কিন্তু যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করা উচিৎ এই কারনে অনেকে আশ্বাস দিয়েও চুপ করে আছেন কারন তাদের চিন্তাধারায় উপরের উদাহরনগুলো হয়তো বাঁধা তৈরী করছে, এছাড়াও আমরা বিশ্বাস করি যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের নাম উল্লেখ করায় আরো অনেকে এগিয়ে আসবে। আমাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার জন্য আকুল আবেদন করছি। সবাই সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
যাদের সহযোগিতায় আমাদের ফান্ড –
- শহীদুল্লাহ ফরায়জী।
- ওস্তাদ শাহাদাৎ হোসেইন খান।
- মোঃ শওকত আলী।
- শাহীনা আক্তার পাপিয়া।
- প্রফেসর রিনাত ফৌজিয়া।
- লাবু রহমান।
- রোমেল খান।
- শাহিনা মাসুদ।
- মাফরুহা জেসমিন বানু।
- শহিদ হাফিজ।
- বাকিউল আলম।
- শাহনেওয়াজ দিপু।
- রিপন হোসেইন।
- রাশেদুল আলম প্রদীপ।
- সোনিয়া সুলতানা।
- নাসির উদ্দিন।
- টিটু আলী।
- কিরন আহম্মেদ।
- মোঃ ফরহাদ।