– শাহরিয়ার খান সাকিব।
বাবা নতুন জামা দাও না কিনে
কালকে নাকি ঈদ,
ঈদগাহে যাবো বাবা
আনন্দের সহিত।
আগের ঈদে কিনছো জামা
করছো হাটবাজার,
যাওনা কেন এখনো বলো
কি আনবে এবার ?
শেমাই খাবো মাংস খাবো
খাবো কত কি!
এবার কিন্তু দিতে হবে
ঈদের সালামী।
কাদেঁ বাবা মনে মনে
মুখ ভরা হাসি,
দাওগো প্রভু মরণ আমায়
নয় নিবো ফাঁসি।
দু’মাস ধরে কত কষ্টে
হচ্ছে যে দিন পার,
নতুন জামা পাবো কোথায়
সাধ্যো নাই আমার।
আমার মত কত বাবা
কত পরিবারে,
ঈদ আনন্দে কষ্ট নিয়ে
আছে হাহাকারে।
খেটে খাওয়া মানুষগুলোর
কষ্টের শেষ নাই,
কিসের তাদের ঈদ আনন্দ
সবই পুরা ছাই।
প্রভু তোমার দাও করুণা
নিয়ে যাও এ ব্যাধি,
মুক্তি পাবো তুমি প্রভু
মুক্তি দাও যদি।
জীবন আছে বলেই তো মৃত্যু আসে। রাত আছে বলেই তো দিন আসে। আনন্দ আছে বলেই তো কষ্ট আসে। হাসি, কান্না, দুঃখ-কষ্ট, ব্যাথা-বেদনা সব নিয়েইতো মানুষের জীবন। একমাত্র মানুষকেইতো আল্লাহ’তাআলা এসব কষ্ট সহ্য করে জীবন চালানোর ক্ষমতা দিয়েছেন। আল্লাহ মানুষকে চাইলে কষ্ট দিবেন, চাইলে সুখ দিবেন। একবার ভাবুনতো আজ পৃথিবীর বুকে ভাইরাস এলো বলে আমরা সবাই খুব কষ্ট আর যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছি। আল্লাহ কি আমাদের এত বছর সুখে রাখেননি ? আমরা ছেলেমেয়েদের নিয়ে কি এত বছর ধরে আনন্দে ঈদ করিনি ? আল্লাহ আমাদেরকে তার গজব দিয়ে পরিক্ষায় ফেলেছেন। আমাদের উচিত আল্লাহর পরিক্ষায় নিজেকে উত্তির্ণ করানো। আল্লাহ চেয়েছে বলে আমরা আনন্দে প্রতিবছর ঈদ করতে পেরেছি। আল্লাহ চান এ বছরের ঈদে যেনো আমরা আগের মত আনন্দে না করতে পারি। আর যখন কষ্ট করে ঈদ করার পরও আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকবো, আল্লাহ হয়তো এর উছিলায় আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে করোনা নামক গজব ওঠিয়ে নিতে পারেন। একবারও কি ভেবেছি আমরা ? যখন আমাদের সন্তানরা আমাদের কথা শুনেনা, আমাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করে না। যখন আমাদের সন্তানরা খারাপ পথে চলে খারাপ হয়ে যায়, তখন পিতা মাতারা তাদের নানা রকম শাস্তি দিয়ে থাকেন। হয় বাড়ি থেকে বের করে দেন। নয় তো পকেট খরচের টাকা বন্ধ করে দেন। আর নয়তো পড়াশোনা বন্ধ করে দেন। কিন্তু এই শাস্তিটা কত দিন ? যতদিন আমাদের উপরে তাদের রাগ থাকে ততদিন। যেদিন রাগটা কমে যায় সেদিন কিন্তু সব কিছু আগের মত দিয়ে যেতে থাকে।
আমরাওতো আল্লার বান্দা, আমরা প্রতি নিয়ত পাঁপের কাজ করে জীবনটা নষ্ট করে ফেলছি। যদি জন্ম দিয়ে জন্মদাতা আমাদের শাস্তি দিতে পারেন, তাহলে যে আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি কি পারেন না আমাদের কর্মের জন্য শাস্তি দিতে ? আমরা কি পারি আমাদের পিতা মাতার প্রতি অসন্তুষ্ট হতে ? পারিনা। তাহলে আল্লাহ আমাদের শাস্তি দিচ্ছেন আমাদের উচিত হবে আল্লাহর শাস্তি মাথা পেতে নিয়ে আল্লাহর কাছে তাওবা করা। আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া। হয়তো আল্লাহ্ আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। রমজান গেলো, ঈদ এলো, ঈদকে আনন্দের সহিত পালন করতে না পারার জন্য কেন নিজেকে কষ্ট দিবো ? আগের ঈদে কত কি করেছি, সেই ঈদের কথা মনে করে কেন কষ্ট পাবো ? আমরাতো সংসার জীবনে চলতে গেলে সব সময় সুখে থাকিনা, ভাবতে পারিনা এটাও একটা অভাবের সময়! আল্লাহ সব ঠিক করে দিবে এই শান্তনা নিতে পারিনা ? নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে পরিবারকে শান্তনা দিন। নিজের পরিবার নিয়ে সচেতন থাকুন। করোনা একটা মরণ ঘাতক। এটা থেকে বাচঁতে আমাদের সচেতনা সবার আগে প্রয়োজন। নিজেরা নিজেদের বাড়ির ভেতরে রাখি অন্যদেরকে রাখার পরামর্শ দেই। এই ঈদে যারা যেখানে আছেন, সেখানেই থাকেন, আমার আপনার সবার জন্যই ভালো। আজ দুঃখ করছেন ঈদ বাড়ি গিয়ে করবেন। কিন্তু বাস বা ট্রেন না পাওয়াতে ঢাকায় ঈদ করতে হচ্ছে। কেন দুঃখ করছেন ? আজ যদি আপনি বাড়ি ফিরেন তাহলে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আনন্দে ঈদ করবেন, আল্লাহ না করুক যদি আপনার দ্বারা করোনার জীবাণু আপনার পরিবারে ঢুকে যায় পারবেন নিজেকে ক্ষমা করতে ? তাহলে কেন মন খারাপ করছেন ? বাড়িতে ফোনে কথা বলে ওদের শান্তনা দিন। আসছে ঈদ এক সাথে করবো বলে আশা দিন। এতে পরিবারে যেমন ভালো, তেমনি আপনারও মঙ্গল।
ঈদের ছুটিতে কাউকে কোথাও ঘুড়তে যাবার জন্য বারণ করেছেন বর্তামান সরকার। আমরা দেশের নাগরিক। দেশের আইন মানা আমাদের জন্য ফরজ। আমরা যদি নিজের ক্ষমতার বলে বা তেরামি করে নিষেধ থাকা সত্বেও বাহিরে ঘুরা ঘুরি করি, তাহলে কেমন হবে ? তাই আমরা সবাই দেশের ভালোর জন্য। দেশের মানুষের ভালোর জন্য। নিজের পরিবারের ভালোর জন্য আমরা বাহিরে যাবো না। বাড়িতে থেকে পরিবারের সাখে সময় কাটাবো। বিভিন্ন খেলা-দুলা করে। টিভি দেখে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কত কিছু প্রচার হবে। সেগুলি দেখে সময় কাটাবো। এতে নিজেরা বেচেঁ যাবো। পরিবারের সবাই আনন্দে ও থাকবে। সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকার পক্ষ থেকে সবাইকে করো জোড়ে মিনতি জানাই। কেউ বিনা কারণে বাহিরে যাবেননা। সচেতন থাকুন। সচেতনতাই এই রোগের মুক্তি। সঙ্গীতাঙ্গন-এ বিভিন্ন শিল্পীদের লাইভ হবে। সঙ্গীতাঙ্গন এর সাথে থাকুন। নিজেকে সুস্থ রাখুন সুস্থ হবে বাংলাদেশ। সবাই কে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা “ঈদ মোবারক”।