– মোশারফ হোসেন মুন্না।
মাইয়া হলুদ রঙ্গের শাড়ি পড়ে
খোঁপায় দিয়া ফুল,
কোথায় যাও গো, যাও বলিয়া,
খুলে লম্বা চুল।
তুমি মাইয়া যাও দেখি
হাসিতে হাসিতে…
পাশের গাঁয়ে জমে উঠা বৈশাখী মেলাতে।
তোমার মনে দাওনা মাইয়া
আমায় একটু ঠাঁই,
তোমার কাছে আমি একটু
ভালোবাসা চাই।
আজ সারাদিন থাকবো মাইয়া
আমি তোমার সাথে।
পাশের গাঁয়ে জমে উঠা বৈশাখী মেলাতে।
গাঁয়ের বধুর সাজন সেজে
কাঁচের চুড়ি হাতে,
চলো না যাই ঘুরবো মেলায়
দু’জন একই সাথে।
আমার হাতটি রাখতে দিও
তোমার নরম হাতে।
পাশের গায়ে জমে উঠা বৈশাখী মেলাতে।
বিশ্ব জুড়ে চলছে মরণ ঘাতক ভাইরাসকে ঘিরে বিশ্বযুদ্ধের মত বেচেঁ থাকার লাড়াই। আনন্দ যেনো মন থেকে মরে গেছে। মানুষ চাইলেও একটু প্রাণ খুলে হাসতে পারেনা। হাসিটা যেনো মানুষ মন থেকেই ভুলে গেছে। আতঙ্ক এসে জায়গা করে নিয়েছে মনের মধ্যে। সবাই যেনো চিন্তায় আছে, আজকের সকালটা সুস্থ দেহ নিয়ে পার করলাম কাল পর্যন্ত সুস্থ থাকবো তো! চারদিকে হাঁহাকার, কোথাও কষ্টের আর্তনাদ। সেই শত কষ্টের ভিড়েও বাঙ্গালীর মনকে একটু হাসাতে। দুই ঠোঁটের নীচে লুকিয়ে থাকা হাসিটাকে টুলপরা গালে এনে দিতে, ছায়ানট আয়োজন করতে যাচ্ছে বর্ষবরণ ১৪২৭। এবারের নতুন বছরকে নতুন ভাবে স্বাগত জানানোর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান যদিও করোনার জন্য বিগত বছরের মত জাঁকজমক ভাবে করা যাচ্ছে না, কিন্তু বাংলার ১৪০০ বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এই ভিন্ন প্রয়াস।
বিগত তিনটি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নির্বাচিত ভিডিও এবং আপার (সানজিদা খাতুন) এবারের কথন দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এ সকাল ৭টায় সম্প্রচার করা হবে। শুধু তাই নয় একইসাথে দেখা যাবে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল CHHAYANAUT DIGITAL-PLATFORM-এ (bit.ly/chhayanaut)। আগ্রহী টিভি চ্যানেলগুলো বিটিভির লিংক ব্যবহার করে একই সময়ে অনুষ্ঠানটি দেখাতে পারবে। বার্তাটি প্রকাশ করে সবাইকে নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান ছায়ানটের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য রহমান। তিনি সবাইকে সুস্থ থাকার ও অন্যেদের সুস্থ ও নিরাপদে রাখার উপদেশ প্রদান করেন। সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই শুভ নববর্ষ। নতুন বছরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে সুখ শান্তি বয়ে আসুক। নির্মুল হয়ে যাক করোনার আতঙ্ক। সেই শুভকামনায়।