বিশ্ব জুড়ে আজ চলছে মহামারীর আতঙ্ক। পৃথিবীর মানুষ আজ পরাজিত একটি মাত্র অনুজীব এর কাছে। কোন কোন দেশের পরিবেশ আজ রুপ নিয়েছে লাশের মর্মান্তিক স্তুপে। কোন কোন লাশ পাচ্ছেনা তার সৎকারের অধিকারের। এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আজ গোটা বিশ্বময়। সেই মহামারিতে আমাদের সোনার বাংলাদেশকে ও ছেড়ে কথা বলা যাচ্ছেনা। তবে আল্লাহ’র অশেষ রহমতে এখনও বাংলাদেশে তেমন পর্যায় পৌছায়নি। হয়তো সৃষ্টিকর্তার অপরিসীম দয়ায় এখনো অন্যান্য দেশ থেকে অনেক ভালো আছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ১৪দিনের যে রুলস জারি করেছে আমাদের সবার উচিত সেই আইন মেনে চলা। আর যদি আমরা তা মেনে চলতে পারি হয়তো আমাদের কাছ থেকে করোনা নামক এই প্রাণঘাতী ভাইরাস বিদায় নিবে।
কেবল মাত্র আমাদের সচেতনতাই পারে আমাদের দেশকে সুস্থ্য রাখতে, দেশের মানুষকে সুস্থ্য রাখতে।
কিন্তু এই ১৪দিনই কি শেষ ?
তারপর বাংলাদেশ আগের অবস্থানে ফিরে যাবে ?
এটা কিন্তু আমরা কেউ বলতে পারি না। হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। আবার নাও হতে পারে। আমরা একটু খেয়াল করে দেখি আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে। যারা দিন আনে দিন খায়।
দিনমুজুর লোকগুলো কিন্তু একদিন কাজ না করলে তাদের চলাফেরা কষ্টকর হয়ে যায়। আর তারাই মানতে পারছেন না আমাদের সরকারের আইনকে। তারা পারছেন না কাজ বন্ধ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে। কারণ তারা গরীব। তাদের জানা আছে যে ফেরিওয়ালা বা রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বের হলেই হয়তো পুলিশ মারবে। তা জেনেও তারা তাই করছে। পরিবারের ভড়ণ-পোষণের খরচ জোগাতে বের হচ্ছে রাস্তায়। আর অনেকে মার খাচ্ছেন পুলিশের হাতে।
এমন অবস্থায় যদি ওরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে তাদের পরিবার চলবে কি করে ? না খেতে পেরে তো এমনি মারা যাবে।
একবার ভাবুনতো রিক্সা নিয়ে রাস্তায় আসা গরীব লোকগুলোর কি অপরাধ?
ইট খোলায় দিন মজুরদের কি অপরাধ ? রাজমিস্ত্রির পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকদের কি অপরাধ, বস্তির, ফুটপাতের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কি অপরাধ ?
তারা রাস্তায় বের হয় কেবলি দু’মুঠো ভাতের জন্য।
তাদের রাস্তায় পেলে পুলিশের লাঠি চার্জের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা গরীব এই কি তাদের অপরাধ ?
আমি আমরা তাদের জায়গায় থেকে একটু চিন্তা করি। আমরা কি পারি না যারা ধনী তারা এই অভাবী গরীব দিনমুজুরের পাশে দাড়াতে ?
আমরা চাইলে কি পারিনা আমাদের সহযোগীতা তাদের কাছে পৌছে দিতে ?
আমরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে একটু চিন্তা করি।
আমাদের মনটাকে একটু প্রশস্ত করি তাদের প্রতি।
আমাদের মন অবশ্যই চায় এসব গরীব খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়াতে এবং তাদের মাথায় সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে।
আর সেই দিক চিন্তা করে, সেই লক্ষ ও উদ্দেশ্যেকে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত করতে সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকার পক্ষ থেকে ‘এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন’ দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সহযোগীতার হাত বাড়াতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের জন্য কিছু করাটা এখন দেশের একজন নাগরিক হওয়ায় দায়িত্ব হয়ে গেছে। আর তাই ‘এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন’ এর সদস্যসহ দেশের ধনী শিল্পপতিদের কাছে উদার্ত আহবান জানানো যাচ্ছে যে, ‘এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন’ এর সাথে আপনারাও শরিক হয়ে গরীবদের পাশে দাড়াই। ‘এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন’-এ আপনার মুক্তহস্তের দান পৌছে দেবে সেই দিনমজুরদের কাছে। যারা করোনার আতঙ্কে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাই আপনারা আপনাদের নিজের দায়িত্ব মনে করে, দেশের একজন সেবক মনে করে ‘এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন’-এ আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন এবং নিজেকে যুক্ত করুন এই মানব সেবার কাজে। এই এসোসিয়েশনের ফান্ডে আপনার সহযোগিতা পৌছে দিতে পারেন বিকাশ বা ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
আমাদের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার – 01879 141917 এবং
ব্যাংকের নাম ও একাউন্ট নাম্বার –
Bank Asia
Shangetangon
A/C No. – 06933000413
Swift Code – BALBBDDH
ঠিকানা – ব্যাংক এশিয়া। সাত মসজিদ রোড শাখা, প্লট নং – ৭৮, বীর উত্তম এ রব সড়ক, ঝিকাতলা, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা – ১২০৯।
এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন আর্তমানবতায় সেবায় বিশেষ অবদান রাখবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা ও দুস্থ শিল্পীদের পাশে দাড়ানো এবং তাদের অসহায় দিনের বন্ধু হবে এই প্রত্যাশা ও উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্যেকে বাস্তবে রুপ দিতে আমাদের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের সাথে থাকুন। আপনাদের সহযোগিতায় হয়তো খেটে খাওয়া মানুষের মুখে কিছুদিনের জন্য শুকনো খাবার (যেমন – চাল, ডাল, ডিম, আলু ইত্যাদি) তুলে দিতে পারবো। হৃদয়বান মানুষগুলোর দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করি। আপনারা একজন ১০০ টাকা করেও যদি সহযোগিতা করেন সেটা সমন্বিত হয়ে হাজার, লক্ষ, কোটিতে রুপ নিতে পারে। তাই আসুন সরকার এর সাথে আমরাও এগিয়ে যাই করোনা প্রতিরোধে। শুধু করোনা নয় দেশের বিভিন্ন সমস্যায় আমরা আমাদের জাতিকে সহযোগীতা করতে পারি এবং করা দরকার। তাই এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন এর সেবামূলক ফান্ড তৈরি করে আপনিও হোন দেশের একজন সচেতন নাগরিক ও দেশপ্রেমীক। সবার সুস্থ্য সুন্দর জীবন কামনা করি।
ধন্যবাদ
এসোসিয়েশন অফ সঙ্গীতাঙ্গন