asd

শিল্পী মনির খান এর উপদেশ ‘করোনা’ নিয়ে…

– মোশারফ হোসেন মুন্না।

করোনা ভাইরাসের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একইসঙ্গে মানুষের ভেতরও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরাও এর ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় নতুন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। এখন সারাবিশ্বের প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের ভেতরে মিলেছে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব। ‬নানা সময়ে মহামারি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে একেক ধর্মে একেকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। যেমন, বাইবেলের উক্তি তুলে ধরে অনেক খ্রিস্ট্রীয় অনুসারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, এমন একটি সময় আসবে ‘যখন একটি রোগে অনেক মানুষ মারা যাবেন’।
একজন লিখেছেন, ‘দুঃখের দিনের শুরু’- ম্যাথু। আরেকজন ‘যিশু ফিরছেন’ এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চলের আগুন… করোনা ভাইরাস…অপ্রচলিত জায়গায় ভূমিকম্প…বিশ্বব্যাপী হিংসা/খুন বেড়ে যাওয়া…ক্ষুধার্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া…আর তারা যারা পুনরুত্থানের কিতাবকে অবজ্ঞা করে৷’ এই নানান বিষয় বস্তু যোগ হয়ে বিশ্বকে করেছে আরো আতঙ্কজনক। এই মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ে আসুন জানি বাংলাদেশের যুবকদের পছন্দের একজন গায়ক জনপ্রিয় অঞ্জনা খ্যাত শিল্পী মনির খান কি বলেন। সবাইকে আমার সালাম ‘আসসালামু আলাইকুম। আমরা আজ বিশ্ববাসী খুবই আতঙ্কিত হয়ে আছি আর কি কারণে আতঙ্কিত তা জানার অপেক্ষা থাকেনা।
আমরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সহ মিডিয়া মাধ্যমে যে একটা বিষয় নিয়ে আছি তা হলো করোনা ভাইরাস। আসলে আমাদের দেশের সরকার যে ভাবে পরিকল্পনা করেছে করোনা থেকে বাঁচার জন্য। সাধারণ মানুষগুলো তা আমলে না নেবার জন্যই বিশেষ করে আমাদের দেশে এই রোগের বিস্তার হলো। যদিও খুব অল্প কিছু লোক আক্রান্ত হয়ছে আর তা হলো বেখেয়ালির কারণে। আমাদের যারা প্রবাসি বাঙ্গাালি আছেন তারা দেশে ফিরে এসে অবান্তর অগ্রাহ্য অবহেলার মাধ্যেমে চলছিল। যাদের মধ্যে কোন গুরুত্ব কাজ করেনি। মনির খান বলতে চাচ্ছেন আমাদের দেশে যত জনেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে বিদেশ ফেরতই সব। সবাই তাদেরকেই মূলত দায়ী করছেন এই রোগ ছড়ানোর ব্যাপারে। আসলে সত্যিই তাই। মনির খান বলেন, আমরা যদি একটু চিন্তা করি তাহলে আমরা সচেতন হবো। আর সচেতনতার মাধ্যমে আমারা এই মহামারী থেকে বাঁচতে পারবো। আর এটা সম্ভব। আমরা যদি কিছু শর্ত মানি তাহলেই আমরা করোনা মোকাবেলা করতে পারি। তিনি বলেন, আজ ইবাদতের জায়গা গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ভয়ে সেই ইবাদতের জায়গাগুলো বন্ধ করে দিল। এই সাথে স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এর মাধ্যেমে অনেকটা কমে এসেছে ভয়ের পরিমাণ। এমনি করে যদি আমরা মাক্সস, সাবান গ্লাভস, ব্যবহার করি, তাহলে হয়তো আমরা এই রোগ কমিয়ে আনতে পারি। বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এখনো নিরাপদ আছে। বাংলাদেশের প্রতিটা মসজিদে এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা হচ্ছে। হয়তো আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। যদি আমরা আমাদের স্ব-স্ব জায়গায় থেকে সচেতন হই। সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমার আবেদন থাকবে সবাই সচেতন হই। আমরা একনিষ্ট হয়ে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ি। আমরা পারবো সবাই সবাইকে সহযোগিতা করলে। তিনি কিছু দিক নির্দেশক মূলক কথাও বলেন। তিনি বলেন, যাদেরকে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে তাদের মধ্যে যারা তাদের সেবা করবেন তারা যেনো সচেতন হয়। রোগীকে একা এক রুমে থাকতে পরামর্শ দেন মনির খান। এমনকি তাদের ব্যবহৃত কোন জিনিস যেনো অন্যরা ব্যবহার না করেন সেই পরামর্শ দেন তিনি। আমরা সবার উপদেশ বাণী মেনে চলবো তাহলে আমরা সুস্থ থাকতে পারবো ইনশা আল্লাহ।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest Articles