– কবি ও কথাসাহিত্যিক রহমান ফাহমিদা।
‘গানে গানে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার এই বর্ণালি আয়োজনের কথা বলার আগে জেনে নেই, সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকার শুরু করার গল্পটা। যে সময়ের কথা বলছি, সেই সময় বাংলাদেশে কোনো বিনোদনমূলক পত্রিকা ছিল না। তখন সঙ্গীতাঙ্গন এর কর্ণধার ও প্রধান সম্পাদক আহসানুল হক ভাইয়ের বড় ভাই এনামুল হক, তার বন্ধু এনায়েত খান মিলে ভিডিওর ওপর ‘ভিডিও গাইড’ নামে একটি পত্রিকা বের করা শুরু করেন। তখন সবেমাত্র বাংলাদেশে ভিডিও ক্যাসেট এর যুগ শুরু হয়েছে। ভিডিও গাইড পত্রিকার সাথে সাথে লন্ডনের মিউজিক ম্যাগাজিন ‘স্ম্যাস হিটস’ এর আদলে তারাও ‘স্ম্যাস হিটস’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। এরপর এনামুল হক ভাইয়ের পরিকল্পনায় তাঁর বন্ধুরা মিলে ‘সংহিটস’ নামে আরও একটি পত্রিকা বের করেন। তখন আহসান ভাই ক্লাস এইট/নাইন-এ পড়েন। সে বড় ভাই ও তাঁর বন্ধুদের সাথে থেকে থেকে সব কাজ দেখেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেয়ার পর তাঁর দুই বন্ধু এসে তাঁকে একটি পত্রিকা বের করার কথা বলে। তখন তাঁর বন্ধুরা মিলে কাজ শুরু করেন এবং বের করেন ‘রক এন রিদম’ নামে পত্রিকা। তারপর এলিফ্যান্ট রোডের জনপ্রিয় এ্যালবাম রেকর্ডিং সেন্টার ‘রেইনবো’র অনুরোধে একটি পত্রিকা বের করে দেন ‘রেইনবো’ নামে। তখন তাঁর মনের মধ্যে অনুধাবন হল যে, সে বিদেশীদের নিয়ে লেখালেখি করছে কিন্তু দেশের মানুষদের নিয়ে লেখালেখি না করলে, কিভাবে দেশের শিল্পী সমাজের কথা তুলে ধরবে ? কেমন করে মানুষের সান্নিধ্য লাভ করবে! দেশীয় সংস্কৃতিকে কিভাবে সবার মাঝে তুলে ধরবে! এই কথা চিন্তা করতে গিয়ে সে ভাবল, এটা করাতো ছোটোখাটো ব্যাপার না! বিশাল বড় একটি আয়োজন। সেজন্যে বড় কারো সহযোগিতার প্রয়োজন।
সেই সময় থেকে টিভি ও মঞ্চের নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী তাঁদের পাশের বাসার থাকেন। সে তখন তাঁকে গিয়ে বললেন নিজের পরিকল্পনার কথা। তখন সব কিছু শুনে ঝুনা চৌধুরী বললেন, শুধু মিউজিকের ওপর পত্রিকা বের করলে হবেনা! মিউজিক এর সাথে নাটক থাকতে হবে কারণ তাঁর সাথে মিলে কাজ করছে আরেকজন নাট্যব্যক্তিত্ব তারিক আনাম। আহসান ভাই রাজি হয়ে গেলেন তাঁর কথায়। তখন বাংলাদেশে ‘আনন্দ বিচিত্রা’ চলছে। সেই পত্রিকার সাথে আহসান ভাইয়ের বড় ভাইও জড়িত ছিলেন। যাই হোক! ১৯৯১-আহসান ভাই শুরু করলেন তাঁদের পত্রিকা এইভাবে, অর্ধেক মিউজিক আর অর্ধেক নাটকের খবরাখবর নিয়ে। কাজ করার কয়েক মাস পর কোনো এক কারনে তাদের কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। ফল হলো পত্রিকা বন্ধ। এদিকে ব্যান্ড ‘মাইলস’-এর প্রথম বাংলা ক্যাসেট বের হবে। তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিল পত্রিকার জন্য, তখন মাইলসের শাফিন ভাই, আহসান ভাইয়ের কাছে তাঁদের পত্রিকা কবে বের হচ্ছে সেই কথা জানতে চান। তখন আহসান ভাই বলেন,পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেছে! বের হচ্ছেনা। সেই কথা শুনে শাফিন ভাই বলেন, কেন বের হচ্ছে না ? আহসান ভাই বলেন, কেউ ইনভেস্ট করছে না। তখন মাইলসের শাফিন ভাই বলেন, সে ইনভেস্ট করতে চায় যদি আহসান ভাই রাজি হন! তখন আহসান ভাই বলেন, সে চায় না তাঁদের সাথে পত্রিকা বের করতে। কারন মিউজিসিয়ানদের সাথে কাজ করলে মিউজিসিনরা এক একজন এক একটা কথা বলবে তখন সে নিজের প্ল্যান মত কাজ করতে পারবে না। শাফিন ভাই বললেন , চল আমরা বসি! তখন শাফিন ভাই ও আহসান ভাই কয়েকবার আলাপ আলোচনায় মাধ্যমে দু’জনে একসাথে শুরু করলেন ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ পত্রিকা, কিন্তু সমস্যা হল! একটি পত্রিকা বের করতে সে সময় ৪০/৪৫ হাজার টাকা লাগতো, সেই টাকা যোগার করতে হতো আহসান ভাইকে। সেই টাকা উঠানোর জন্য বিজ্ঞাপন যোগাড় করা, পত্রিকা বিক্রয় করা, সবকিছুই তাঁর করতে হতো। টাকা যোগার না হলে পত্রিকার পরবর্তী সংখ্যা বের হতো না। দু’বছরে চারটি সংখা বের করে সে অস্থির হয়ে যায়!
সেই সময়, একাধারে এমপি ও বিজিইমের প্রেসিডেন্ট ছিলেন রেদোয়ান আহমেদ, তাঁর ছেলে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে চান। তখন আহসান ভাই ‘মিউজিক’ নামে আরও একটি পত্রিকা বের করেন আর সঙ্গীতাঙ্গনকে দিয়ে দেন শাফিন ভাইকে। তিনি আহসান ভাইয়ের একটি ছোট ভাইকে নিয়ে ‘মানব জমিন’ এর আদলে ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ বের করা শুরু করলেন। তিনটি সংখ্যা বের করে তারপর তাঁরা পত্রিকাটি বন্ধ করে দেন। এদিকে আহসান ভাই ‘মিউজিক’ পত্রিকা বের করেন এবং তারপর ‘মিউজিক ওয়ার্ল্ড’ বের করে এক সময় বিদেশ চলে যান।
কয়েক বছর বিদেশে থেকে এসে আবারও সঙ্গীত পত্রিকা বের করার চিন্তা করেন। তিনি খবরাখবর নিয়ে জানতে পারেন শাফিন ভাই পত্রিকাটির সর্বমোট মাত্র সাতটি সংখ্যা বের করে পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তার ফলে পত্রিকাটির রেজিস্ট্রেশন হয়নি। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী, পত্রিকা বের করার আগেই আবেদন করতে হয় এবং মাসিক পত্রিকার আটটি সংখা বের হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন নম্বর আনতে হয়। এর কিছুই তাঁরা করেননি! সে জন্য ১৯৯২ সালে শুরু হওয়া ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ পত্রিকাটি আহসান ভাই আবার শুরু করলেন নতুনভাবে, ২০১৩ সাল থেকে অনলাইনে। সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকা এখন সরকারীভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ বাংলাদেশের প্রথম সঙ্গীত বিষয়ক পত্রিকা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সঙ্গীতাঙ্গন এর উদ্দেশ্য হল, সঙ্গীতজ্ঞদের অবদানের কথা তুলে ধরা। সঙ্গীত শিল্পীদের গান থেকে শুরু করে, তাঁদের জীবন, শিক্ষা এবং অন্যান্য সবকিছুই তুলে ধরতে চেস্টা করে ‘সঙ্গীতাঙ্গন’। তাছাড়া মিউজিকের সবধরনের ঘরনার খবরাখবর ভক্তদের কাছে তুলে ধরাও ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ এর মূল উদ্দেশ্য। বর্তমানে ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ পত্রিকার পাশাপাশি একক সিডি ও মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করছে। সবার জন্য উন্মুক্ত একক সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সঙ্গীতাঙ্গন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে। এই একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন কোনো স্বার্থের জন্য করা হয়নি! বরং সুন্দর ও স্বচ্ছ এক চিন্তা থেকে এটা উদ্ভূত হয়েছে। তা হল,আমাদের দেশে রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, ফোক, গণসঙ্গীত, ব্যান্ড মিউজিক ইত্যাদি সব ঘরানার শিল্পীদের জন্য উন্মুক্ত সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, একমাত্র আধুনিক গান ছাড়া! এমনকি যারা আধুনিক গান করেন এবং মৌলিক গান করেন তাঁদের জন্য আলাদা করে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ সুবিধা নেই। তাই সেই চিন্তাধারার উপর নির্ভর করে ‘সঙ্গীতাঙ্গন’, একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ দর্শকদের জন্য কোনো টিকিটের ব্যবস্হা রাখেনি কারণ এই অনুষ্ঠান সকল দর্শকের জন্য উন্মুক্ত। সেই সাথে অতিথিদের সম্মানে চা নাস্তারও আয়োজন করা হয়। এরই মধ্যে ‘সঙ্গীতাঙ্গন’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন তিনজন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী তাঁরা হলেন যথাক্রমে – জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লীনু বিল্লাহ, সঙ্গীতশিল্পী নজীবুল হক নজীব এবং সঙ্গীতশিল্পী রুমানা ইসলাম। তাঁদের এই একক সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন দেখে অনেকেই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কিন্তু দেশের ও বর্তমান পরিস্থিতিতো আছেই, তাছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয় না! আমাদের দেশে শীতের মৌসুমেই কনসার্ট গুলোর আয়োজন বেশী হয়। তাই অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয় শীত মৌসুমের জন্য। সঙ্গীতাঙ্গন আশা করছে, আল্লাহ্র ভরসায় সবকিছু একদিন স্বাভাবিক হয়ে যাবে! আবার মুখরিত হবে সঙ্গীত ভুবন, ইনশা আল্লাহ্!
সঙ্গীতাঙ্গন চেস্টা করে, দেশের বাইরের পত্রিকাগুলোর মত সবকিছু বর্ণিলভাবে তুলে ধরতে কিন্তু যেহেতু আমাদের দেশ মুসলিম দেশ সেহেতু এখানে অনেক বাধ্যবাধকতা আছে। নাটক সিনেমায় কিছুটা হলেও আবেদনময়ী কিছু করা যায় কিন্তু সঙ্গীতের ক্ষেত্রে করতে গেলে তা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যায়। যার ফলে অনেক মজার মজার গানের সৃষ্টি হলেও কখনো কখনো এইসব বাধ্যবাধকতার কারণে হয়ে উঠছেনা। সেইরকম সঙ্গীতাঙ্গন সবকিছু লিখতে চাইলেও, লিখতে পারছেনা। শিল্পীরা সবসময়ই নিজেদের অভাবগ্রস্থ দেখাতে পছন্দ করে। অনেকেই আছে, আসলেই অভাবগ্রস্থ কিন্তু তাঁরা সেভাবে সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেনা! সঙ্গীতাঙ্গন এরকম অভাবগ্রস্থ শিল্পীদের দুঃখ দুর্দশার কথা বহুবার ফিচারের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। অনেক শিল্পী আছেন তাঁদের ব্যক্তি জীবনের সঠিক তথ্যটি জানাতে চাননা। যেমন তাঁরা যে নতুন গাড়ি কিনেছে তার দাম কত ? কোরবানির গরু কত টাকা দিয়ে কিনেছেন ? বিদেশে এবং দেশে শো করে তাঁদের ইনকাম কেমন হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি নানান প্রশ্নের উত্তর তাঁরা দিতে চান না, হয়তোবা ইনকাম ট্যাক্সের ভয়ে। তবে এখন আনন্দের বিষয় হল, অনেকেই ইনকাম ট্যাক্স দেন। তাঁদেরকে সঙ্গীতাঙ্গন স্যালুট জানায়।
শিল্পীদের জীবন রঙিন হয় ভেবে, ভক্ত শ্রোতারা আগ্রহ থাকে তা জানার জন্য। আর এই আগ্রহ ও অতৃপ্তিকেই সঙ্গীতাঙ্গন শিল্পীদের সাথে আলাপচারিতায় ফুটিয়ে তুলতে চান মজার মজার প্রশ্ন করে কিন্তু অনেক সময় হতাশ হতে হয়! সঙ্গীতাঙ্গন কখনো কখনো শিল্পী, গীতিকার, সুরকার বা সঙ্গীত বিষয়ে জড়িত এমন কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায় না। বরং তাদের পাশে থেকে তাঁদের কর্মজীবনকে, তাঁদের সৃষ্টিকে মানুষের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করে। সেই চেস্টা থেকেই আজ সঙ্গীতাঙ্গন আয়োজন করেছে ‘গানে গানে বাংলাদেশ’ -এর প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের ফাইনাল রাউন্ড।
এবার আসা যাক ‘গানে গানে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনায়। এই প্রতিযোগিতায়, প্রতিযোগীরা অংশ নেন ঢাকা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। প্রথমে তাঁরা তাঁদের গান, সুর করা গান এবং গীতিকবিতা লাইভ ভিডিও রেকর্ডিং মাধ্যমে ‘গানে গানে বাংলাদেশ’ ফেসবুক পেইজে পাঠান। তারপর বিভিন্ন বিশিষ্ট জনের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে তাঁদেরকে বাছাই করা হয়। পরবর্তীতে যারা ফোনে বা সরাসরি যোগাযোগ করেছেন, তাঁদেরকে কয়েক পর্বে ভাগ করে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত করার পর, লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে সরাসরি তাঁদের গান, সুর করা গান এবং তাঁদের লেখা গান প্রচার করা হয় এবং বিচারক ও ভিউয়ার্সদের ভোটাভুটির মাধ্যমে তাঁরা দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে নির্বাচিত হন ফাইনাল রাউন্ডের জন্য।
এই ‘গানে গানে বাংলাদেশে’ প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে সঙ্গীতাঙ্গনকে হিমসিম খেতে হয়েছে কারণ কাকে রেখে, কাকে বাদ দিবে! সবাই তো এসেছেন তাঁদের স্বপ্ন নিয়ে, আশা নিয়ে। ৯০০ জনের অধিক প্রতিযোগীর মধ্যে ১৫ জন ফাইনাল রাউন্ডের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে সঙ্গীতাঙ্গন কাউকে নিরাশ করতে চায় না। তাই যারা এতদূর সফর করে এসেছেন, তাদের জন্য সঙ্গীতাঙ্গন চিন্তাভাবনা করছে এভাবে-যারা প্রাথমিক নির্বাচনে নির্বাচিত হতে পারেননি এবং ফাইনাল রাউন্ডে যারা বিজয়ী হতে পারবেন না তাঁরা পরবর্তী ‘গানে গানে বাংলাদেশ’-এর দুই সিজনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে যারা গান, সুর এবং কথা সঙ্গীতাঙ্গন-এ পাঠিয়েও আর যোগাযোগ করেননি, তাঁরা আর আগামীতে সঙ্গীতাঙ্গনের ‘গানে গানে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা এই সন্দেহ আছে। এই ‘গানে গানে বাংলাদেশ’ -এর ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বর্ণালি আয়োজনে আগামী ১৫ মার্চ, ২০২০, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বিশিষ্ট জনের সমন্বয়ে। সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে প্রতিযোগী, বিচারক এবং দর্শক শ্রোতা যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সকলের জন্য রইল শুভকামনা।