শাহরিয়ার সাকিব।
তোমার পাশে প্রধান মন্ত্রী
বাড়িয়ে দানের হাত,
পারেনি রাখতে তোমায়
কাটাতে আধার রাত।
তোমার পাশে দানের হাতে
গানের মানুষগুলো,
তবুও পারেনি ফেরাতে তোমায়
যমদূত নিয়ে গেলো।
সুর স্রষ্টা মহান স্রষ্টার
আদেশ বাণী পেয়ে,
চিরতরে চলে গেলো
এই পৃথিবী ছেড়ে।
মৃত্যুর কাছে সবাই আমরা
পরাজিত সৈনিক,
থাক চির সুখে ঐ পরবাসে
এই প্রার্থনা করি।
পৃথিবীর মায়া ছেড়ে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। তবে যাবার আগে এমন কিছু কর্ম রেখে যেতে হবে, যার মাধ্যেমে মানুষ সম্মানের সাথে সারা জীবন তাকে মনে রাখবে। এমন ব্যাক্তিত্ব অর্জন করা মানুষ যুগে যুগে আসছে, চলে যাচ্ছে। আবার আসবে। কিন্তু কারো শূন্য জায়গা কাউকে দিয়ে পূর্ণ করা সম্ভব হয়না আর হবেও না। এই তো গত রাতে এমনই একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন পরপারে সারা জীবনের জন্য। কত ভাবে কত চিকিৎসা করার পরও বাচানো যাইনি তাকে। প্রকৃতির ডাকে সারা দিতেই হলো। তিনি হলেন সবার পরিচিত মুখ। সুরের স্রষ্টা সেলিম আশরাফ। গত রবিবার রাত তিনটার সময় তিনি মারা যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাহ ইলাহি রাজিউন। তার মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার স্ত্রী কণ্ঠশিল্পী আলম আরা মিনু। এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে চেন্নাইয়ে শ্রীরাম মেডিকেল সেন্টারে ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন এই সুরস্রষ্টা। তখন খানিক সুস্থতাবোধ করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জানা যায়, চার বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন সেলিম আশরাফ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্বাসকষ্ট, রক্ত ও কিডনি সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা নিয়ে বেশ অর্থকষ্টে পড়েছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী তার পাশে দাঁড়ান এবং ১০ লাখ টাকার একটি সঞ্চয়পত্র দেন। তার চিকিৎসার সাহায্যে এগিয়ে আসেন সঙ্গগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন ও সৈয়দ আব্দুল হাদী। পাশে দাঁড়ান অসুস্থ শিল্পী এন্ড্রু কিশোরও। কিন্তু এবার তিনি অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে হার মানলেন। চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আর কোন দিন আসবে না কথাকে সুন্দর সুরে অলংকরণ করতে। সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করি।