মোশারফ হোসেন মুন্না।
ভালোবেসে ভালোবাসার বন্ধন চিরদিন ধরে রাখার নামই প্রকৃত অর্থে ভালোবাসা। ভালোবেসে ভালো রাখার দৃঢ় প্রত্তয়ের নামই ভালোবাসা। সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকার নামই ভালোবাসা। ভালোবাসার কখনো অবসান হয় না। ভালোবাসা সীমাহীন গতিতে চলতে থাকে। এর ক্ষয় নাই লয় নাই। আমি জানি আপনাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে। আর জাগাটাই স্বাভাবিক। ভালোবাসা যদি চিরন্তন হয়। তার যদি ক্ষয় লয় না থাকে। তাহলে মানুষ কিভাবে ভালোবাসার মানুষকে কষ্ট দেয় ? হ্যাঁ হতে পারে এমন। হচ্ছে এমন সব ঘঠনা। তবে সেখানে পূর্ণ ভালোবাসার বীজ বপন হইনি। তাই মাঝ পথে ছেড়ে চলে যায়। যারা ভালোবাসাকে সম্মান করে তাদের ভালোবাসা কবু শেষ হয়না। যেমন হইনি রজকিনী-চণ্ডী দাসের, শিরি-ফরহাদের, লাইলী-মজনুর। তাদের ভালোবাসা চির অমর হয়ে আছে ইতিহাসে। কিন্তু এই যুগের সেরা জুটির এক দম্পত্তি যারা বিয়ে করেছিলেন ভালোবেসে। একজন আরেকজনকে ভালোবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলো। তাদের ভালোবাসা কেন টিকলো না। কারণ সেখানে পরিপূর্ণ ভালোবাসা ছিলোনা। যেখানে পরিপূর্ণ ভালোবাসা থাকেনা সেখানে ভালোবাসা টিকেনা। যেমন টিকেনি গায়ক ও নায়ক তাহসান রহমান খান ও মিথিলার ভালোবাসার বিবাহ বন্ধন। দীর্ঘ ১১ বছর সংসার করার পর ২০১৭ সালে দুই জনের ইচ্ছেতে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ঢাকাই শোবিজের জনপ্রিয় দম্পতি তাহসান খান-রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এরপর গেল বছরের ৬ই ডিসেম্বর কলকাতার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেন মিথিলা। অথচ তাদের সুন্দর সংসার জীবনের এক মেয়ে ছিলো। মিথালার বিয়ের পর এবার তাহসান খানের বিয়ের গুঞ্জন। মিথিলার বিয়ের ৭৫দিন পর এবার শোনা যাচ্ছে তাহসানেরও বিয়ের গুঞ্জন।
জানা যায় নতুন ভাবে জীবন শুরু করার কথা ভাবছেন তাহসান। মিথিলার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর আবার নতুন করে নাকি পথ চলা শুরু করতে চলেছেন তিনি। বিশেষ সূত্রে জানা যায় কিছু দিন আগে ঢাকার বনানীতে একটি রেস্তোরাঁয় জনৈক সংবাদ পাঠিকার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাতে দেখা যায় তাহসানকে। সে তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ওই মানুষটিই যে তাহসানের জীবনের স্পেশাল পার্সন-দাবি করছেন অনেকেই। তবে কারো কারো মতে, এটা শুধুই গুঞ্জন, উড়ো গসিপ। কাজের জন্যই সেই সংবাদ পাঠিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাহসান। তারপরও ভক্তদের মধ্যে জল্পনা থামছেই না। যদিও পুরো ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেন নি তাহসান। ফোন করে এই তথ্য জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলতে রাজি হননি। আসলে ব্যাক্তি জীবনে একজন শিল্পীর জন্য এমন পরিস্থিতি একটু অপমানেরই। কিন্তু কিছুই করার নেই। এটাই বাস্তব।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আপনজনকে ভালো রাখুন। সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক ভালোবাসা।