শাহরিয়ার সাকিব।
৮০’র দশেকের সেরা দুই ভিডিও’র একটি হলো ‘টেক অন মি’। গত বৃহস্পতিবার নরওয়েজিয়ান মিউজিক ভিডিও ‘টেক অন মি’ এক বিলিয়ন ভিউয়ার ছাড়িয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিডিওটি ১০০ কোটি ১৯ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। এই খবরটি টুইটারের মাধ্যেমে জানিয়েছে টেক অন মি ব্যান্ড।
১৮ ফেব্রুয়ারি নিজেদের টুইটার পেজে তাদের উচ্ছ্বাসের ভাষাটা ঠিক এ রকই- ‘টেক অন মি’ ইউটিউবে এক বিলিয়ন ভিউ হয়েছে! তবে আপনারা এবং আমাদের ফ্যানরা পাশে না থাকলে এটি কখনোই করা সম্ভব হতো না। মাইলস্টোন মুহূর্তটাকে উপভোগ করতে আমরা বিশেষ কিছু করেছি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ইউটিউব জানিয়েছে, ১৯৮৫ সালে গানটি প্রকাশ করে নরওয়েজিয়ান পপ ব্যান্ড আ-হা। এটি ইউটিউবে ছাড়া হয় ২০১০ সালের জানুয়ারিতে। আইকনিক এই ভিডিওটি দিনে গড়ে প্রায় পাঁচ লাখবার (৪ লাখ ৮০ হাজার) দেখা হচ্ছে।
১৯৮৬ সালে ষষ্ঠ এমটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড পায় টেক অন মি। পাশাপাশি আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে জনপ্রিয় পপ/রক ভিডিও হিসেবে মনোনীত হয় গানটি। এর আগে একই দশকে আরেকটি মিউজিক ভিডিও বিলিয়ন ভিউ স্পর্শ করে। রক ব্যান্ড গানস এন রোজেস-এর ‘সুইট চাইল্ড ও মাইন্ড’ ওই গানটি ২০০৯ সালে ইউটিউবে প্রকাশ পায়। সে হিসেবে টেক অন মি ‘৮০-র দশকের দ্বিতীয় কোনো মিউজিক ভিডিও যা বিলিয়ন ভিউ ছাড়িয়ে গেল। ইউটিউব হলো গান হিসেবের একটি মাধ্যেম যার মাধ্যেমে অর্থ লাভের একটা পথ উন্মোচন হয়েছে। কিন্তু এখানে একটা বিষয় খুবই খারাপ আর সেটা হলো যে কেউ ইচ্ছা করেই যে কারো গান বা ভিডিও তাদের নিজের চ্যানেলে আপলড করছেন আর তা থেকে অবৈধভাবে ভিও নিয়ে নিজে টাকা পয়সা কামাচ্ছেন। অথচ এর জন্য শিল্পীরা কিছুই জানেনা। আমরা মনে করি এটা শিল্পীদের জন্য একটা দূর্ভাগ্য। এটার একটা সমাধান হওয়া দরকার। তবে এটা কবে হবে, আদৌ হবে কিনা হয়তো আমরা কেউ তার সম্পর্কে অবগত নই। ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন বাংলা সংস্কৃতির সাথে থাকুন।