Canlı Maç İzle

Hacklink

Hacklink

Hacklink

kayaşehir escort

taksim escort

üsküdar escort

Hacklink

Hacklink

casino kurulum

Hacklink

Hacklink

Hacklink

slot gacor

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Eros Maç Tv

hacklink

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

SBOBET88

Marsbahis

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

Marsbahis

Hacklink

bbo303

Hacklink

Hacklink

Hacklink Panel

Hacklink

sarıyer escort

extrabet

Jojobet

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

bomonti escort

Hacklink

hacklink

Hacklink

Hacklink

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

özbek escort

algototo

Hacklink

Hacklink panel

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Buy Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

xgo88

Hacklink

Hacklink

slot gacor

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

หวยออนไลน์

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink satın al

Hacklink

download cracked software,software download,cracked software

Hacklink Panel

Hacklink

padişahbet giriş

betorspin

betorspin

betorspin

betorspin

betorspin

cialis fiyat

Hacklink

wbahis

casibom giriş

ibizabet

casibom

jojobet giriş

sekabet giriş

holiganbet

wbahis

wbahis

betcio giriş

betist

betist

betist

betist

adapazarı escort

sakarya escort

istanbul mobilyacı

betoffice

serdivan escort

casibom giriş

piabellacasino

jojobet

steroid satın al

mavibet

perabet giriş

perabet

wbahis

rokubet

matbet

bahiscasino

bahiscasino giriş

bahiscasino.com

matbet

jojobet

90min

iptv satın al

holiganbet

holiganbet giriş

yakabet

pusulabet

meritking giriş

Jojobet

galabet

konya escort

rokubet

matbet

marsbahis güncel giriş

yakabet

jojobet giriş

Betpas

Betpas

Betpas giriş

matbet

주소모음 사이트

sekabet

vdcasino

Hacklink

casibom

livebahis

meritking

betpark

queenbet

queenbet

queenbet

norabahis

cratosslot

hit botu

request hit botu

mecidiyeköy escort

pusulabet

veren siteler

perabet

perabet giriş

sweet bonanza oyna

Streameast

grandpashabet

sakarya escort bayan

casibom giriş

Marsbahis

diyetisyen

kazansana

sapanca escort bayan

onwin

meritking güncel giriş

vdcasino

truvabet

Betpas

Betpas giriş

betkom

palacebet

betkom

parmabet giriş

betkom giriş

parmabet

betkolik güncel giriş

betkolik

betovis

casibom güncel

enbet

tantra massage in Istanbul

vozol

online diyetisyen

aresbet

wbahis

Padişahbet

betnano

casibom giriş

betmarino

konya escort

Betpas

atlasbet

Bästa Casino Utan Svensk Licens

galabet

jojobet

paşacasino

Matbet Giriş

Betcio

Galabet

setrabet

truvabet türkiye

https://betpuan.net

asyabahis

norabahis

Vaycasino giriş

padişahbet

Marsbahis

tempobet

safirbet

vevobahis

megabahis

megabahis

olabahis

prizmabet

teosbet

Marsbahis

onwin

onwin giriş

queenbet

Jojobet giriş

betkolik giriş

kazansana

betlike

polobet

padişahbet

bahiscasino

casibom

jojobet

matbet

matbet giriş

wbahis

matbet

Marsbahis

Hacklink

Hacklink

Hacklink

Hacklink

1xbet

suratbet

vaycasino

jojobet

bahsegel

imajbet giriş

imajbet

deneme bonusu veren yeni siteler

anadoluslot

otobet

ultrabet

betturkey

superbet

madridbet

ultrabet

ultrabet

kavbet

kavbet

kavbet

betnano

enbet

betebet

marsbahis

meritking

pusulabet

pusulabet giriş

zbahis güncel

casinolevant

galabet

galabet giriş

galabet güncel giriş

galabet mobil

vaycasino

vaycasino giriş

kralbet

kralbet

poliwin

casibom

nisanbet

grandpashabet

meritking

betasus

bahiscasino

meritking

vaycasino

milosbet

marsbahis

pusulabet giriş

padişahbet giriş

casibom

grandpashabet

imajbet

pusulabet

sekabet

İzmir escort

padişahbet

tarafbet

sahabet

vaycasino

dinamobet

Pusulabet

galabet

süratbet

yakabet

ccasinolevant

mavibet

unblocked

casinolevantt

mavibet

meybet

mavibet

yakabet

betovis

kavbet

kavbet

jokerbet

sonbahis

trendbet

winxbet

betoffice

galabet

betkolik

grandpashabet

casinolevant

casinolevant giriş

jojobet

vdcasino

marsbahis

grandpashabet

meritking

holiganbet

restbet

Tuesday, December 16, 2025

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিষয়টি অবশ্যই দেখতেন! – জনপ্রিয় বেস গিটারিস্ট মোরশেদ খান…

কবি ও কথাসাহিত্যিক রহমান ফাহমিদা।

একটি গানকে শ্রোতাদের কাছে শ্রুতিমধুর করে তুলে ধরার জন্যে সেই গানের পেছনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন, তাঁরা হলেন যন্ত্রশিল্পী। বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে তাঁরা গানের সুরটাকে আকর্ষণীয় করে তুলেন। যন্ত্রশিল্পীগণ বিভিন্ন গানের সাথে যে যন্ত্রগুলো ব্যবহার করেন তার মধ্যে তবলা-বায়া, সেতার, সরোদ, বেহালা, হারমোনিয়াম, কিবোর্ড, কঙ্গ, গিটার ইত্যাদি অনেক যন্ত্র। গিটার বহুল পরিচিত এবং প্রচলিত বাদ্যযন্ত্র। এটি ছয় তার বিশিষ্ট বাদ্যযন্ত্র। গিটার তিন প্রকার – স্প্যানিশ, হাওয়াইয়ান ও বেস গিটার। এছাড়াও স্প্যানিশ গিটারের মধ্যেও প্রকারভেদ রয়েছে যেমন – ক্লাসিক্যাল, এ্যাকুস্টিক ও ইলেকট্রিক। বেস গিটার একটি ইলেকট্রিক গিটার, যা চার তার বিশিষ্ট। বেস গিটারের তারগুলো অন্যান্য গিটারের তুলনায় মোটা হয়ে থাকে। এটির মাধ্যমে সঙ্গীতের পটের অন্তরালে একটি গম্ভীর সুরের আবহ দেয়া হয়। বাংলাদেশের জনপ্রিয় বেসগিটারিস্ট মোরশেদ খান। যিনি কিনা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর সাথে একনাগারে বেসগিটার বাজিয়ে গিয়েছেন এবং এখনো বাজিয়ে যাচ্ছেন। একাধারে সে-বেসগিটারিস্ট, ইন্সট্রাক্টর বেসগিটার ও ফ্রিলেন্স মিউজিশিয়ান, মিউজিক ডিরেক্টর, মিউজিক কম্পোজার এবং মিউজিক অ্যারেন্জমেন্ট করেন। সে কোন্ কোন্ ব্যান্ডের সাথে কাজ করেছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন্ বিষয়টা দেখতেন, সেইসাথে এখন তিনি কি করছেন! সবকিছু তিনি শেয়ার করেছেন সঙ্গীতাঙ্গন-এর সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতায়।

আপনার বেসগিটারিস্ট হিসেবে শুরুটা কবে থেকে ?

আমার বেসগিটারিস্ট হিসেবে শুরু ১৯৮৭ সাল থেকে।

আপনি প্রথমে কাজ করেছেন কোন্ ব্যান্ডের সাথে ?

আমার বেসগিটারিস্ট হিসেবে যাত্রাটি অনেক লম্বা! ১৯৮৭ সালে, প্রথমে আমি আমার মিউজিক ক্যারিয়ার শুরু করলাম, আমার একটি ব্যান্ড ছিল যার নাম ছিল ‘রুট ফাইন্ডার’ সেখানে। তারপর ১৯৮৯ সালে কাজ শুরু করলাম ‘অরফিয়াস’ ব্যান্ডে এবং একই সময়ে জয়েন করলাম ‘ক্রিস্টাল শিপ’ ব্যান্ডে। এই ব্যান্ড কিছু কভার করেছে যেমন- দি ডোরস, পিংক ফ্লয়েড ইত্যাদি। আমি অনেক ব্যান্ডের সাথেই বাজিয়েছি যেমন-ফান্টম লর্ড। এটা ছিল রক মেটাল ব্যান্ড। তারপর আমি জয়েন করি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ড উইনিং-এ। সেখানে বেসগিটার বাজাই ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। তারপর ২০০০ সালে আমি বিভিন্ন সোলো শিল্পীদের সাথে বাজিয়েছি এবং স্টুডিওতে রেকর্ডিং-এ হেল্প করেছি। ২০০১ সালে আমি ব্যান্ড পেন্টাগন-এ জয়েন করি। একই সাথে একটি ল্যাটিন ব্যান্ডের সাথে ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন ভ্যানু ও বলে বাজিয়েছি। সেইসাথে আমি ব্যান্ড ‘জ্যাজই চপস্টিক্স’-এ বাজাই। এটা একটা ইন্সট্রুমেন্টাল ব্যান্ড। এই জ্যাজই চপস্টিক্স-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন জার্মানির অধিবাসী। তাঁর নাম সাসা। জ্যাজই চপস্টিক্স-এর সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি যেমন-জার্মান এ্যামব্যাসির রুফটপ পার্টি, জার্মান ক্লাব, জার্মান গোথে ইন্সটি্টিউট, ইউরোপিয়ান কনভেনশন সেন্টার, সুইডিশ এমব্যাসি পার্টি, ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব, টার্কিস এমব্যাসি ট্রেড ফেয়ার বিসিএফসিসি, ডাচ ক্লাব ইত্যাদি। পেন্টাগনে জয়েন করা অবস্থায় আমি তখন ব্যান্ড আর্ক-এ জয়েন করি। ব্যান্ড আর্ক তখন ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। আমি ওটাকে অ্যাক্টিভ করার জন্য পেন্টাগন ব্যান্ডের সাথে সাথে আর্ক ব্যান্ডেও বাজাতাম। আর্কের সাথে সাথে আবার রেনেসাঁর বেসগিটারিস্ট প্রয়োজন হল! রেনেসাঁ ব্যান্ডের সবাই আমার বড় ভাই। তাঁরা বিপদে পড়বে আমি থাকতে! তাই আর্কের সাথে সাথে রেনেসাঁয় বাজানো শুরু করলাম। বড় ভাইদের সাথে কাজ করে দারুণ একটা এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে। আমি একই সময় ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্ক ও রেনেসাঁ-তে বাজিয়েছি। এখন আমি শহরের অসম্ভব জনপ্রিয় দুটি ব্যান্ড পেন্টাগন ও দি জ্যাজই চপস্টিক্স-এ বেসগিটার বাজাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে পারফর্মেন্স করছি। আমি মাছরাঙা টিভির প্রতিদিনের প্রোগ্রাম মাছরাঙা আনপ্লাগড-এ অংশগ্রহণ করছি।

গানের জগতে তো অনেক ক্ষেত্র আছে! এতকিছু থাকতে, গিটারকে বেছে নিলেন কেন ?

এটা আসলে না! ছোটবেলা থেকেই হয়ে যায়। ছোটবেলায় থেকেই বিদেশী বিভিন্ন গান খুব বেশী শুনতাম। বেশিরভাগ গানই গিটার বেইজ ছিল। বলতে পারেন, ওখান থেকেই গিটারের প্রতি আমার দুর্বলতা প্রকাশ পায়।

এরকম কেউ কি আছেন! যাকে দেখে আপনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন গিটারের প্রতি।

আমি আসলে বেশী বিদেশী গানগুলোই শুনতাম এবং দেখতাম। তবে ছোটবেলায় দেখতাম যে, লাকী আখন্দ ভাই, হ্যাপী আখন্দ দাদা, গিটার বাজিয়ে গান করতো, মজাই লাগতো। গিটার আমার প্রথম শেখা হয়েছিল মোহাম্মদপুরে। মোহাম্মদপুরে আমার এক বন্ধু ছিল, এহসান নাম। সে একুস্টিক গিটার বাজাতো আর সাথে গানটানও করতো। ও বিভিন্ন সিনিয়র আর্টিস্টদের গান করতো, তখন আমি আমার পছন্দের বিদেশী গানগুলো করতে বলতাম। বলতাম, এগুলো কর। ওকে বলতে বলতে কিভাবে যেন নিজেই গিটার ধরে ফেলেছি। বলতে পারেন। এহসানের কাছেই আমার গিটারের হাতেখড়ি।

ছোটবেলা থেকেই গিটার শিখছেন ভাইয়া, ছোটবেলা বলতে কিন্তু অনেক বেলা আছে! যেমন শৈশব, কৈশোর। তো আপনি গিটারিস্ট না হলে কি হইতে চাইতেন তখন ?

ছোটবেলায় আমি অনেক খেলাধুলা করতাম। আমি সেকেন্ডডিভিশনে হকিও খেলেছি কিন্তু ঐ খেলাধুলায় তেমন কিছু হয়নি। এই গিটারই আসলে একটা নেশার মত ছিল। তখন এমন হয়েছে যে, মন খারাপ হল, একটু গিটার বাজাই! মন ভালো তো একটু গিটার বাজাই, এইরকম একটা ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল। আর আমরা যখন শিখছি তখন তো আর ইন্টারনেট ছিলনা। তাই প্রথম প্রথম তো ভুলভাবে শেখা হয়েছে। তারপর যখন বুঝলাম, এটা এইভাবে না! ঐ ভাবে। তখন ঠিক করে নিলাম।

এটা কোন্ সালের ঘটনা হবে ?

১৯৮৭, ৮৯, ৯২ পর্যন্ত আমরা পারফেক্ট বুঝিনি সেভাবে, কিভাবে গিটার বাজাতে হয়! ৯০-এর পর আমরা বুঝলাম। তখন আমরা যেটা করতাম, কেউ একজন গিটার প্লেয়ার ম্যাগাজিন নিয়ে আসছে! ওটা ঘুরতো সবার কাছে। আমরা সেই ম্যাগাজিন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতাম। দেখা যেত যে, আজকের ম্যাগাজিন হাতে পেলাম আট মাস পরে। আসলে সবাই ঐটা শেয়ার করতাম তাই হাতে পেতে দেরী হত। এই শেয়ারিংটা ভালো দিক ছিল আমাদের জন্য। এটার একটা উধারণ দেই যেমন-আমার বাবা মারা গিয়েছিল পহেলা মে’তে। বাবা যে বছর মারা যায়, সেই বছর পহেলা মে’তে ২১শে টিভিতে এক শো হওয়ার কথা ছিল। সেদিন না হয়ে আট তারিখে হয়েছিল কিন্তু আমরা ঐ শোটা করিনি। তখন সাসা আমাকে ডাকল, ও তো বিদেশী মানুষ! আমার বাবার কথা শুনে সে দুঃখ প্রকাশ করলো। আর আমাকে বল্লো, মোরশেদ তুমি মিউজিক কর। মিউজিক তোমাকে খুব হেল্প করবে। ছোট বেলায়ও মন খারাপ হলেই ভাবতাম, আসলেই কি মিউজিক হেল্প করে! তাই আব্বা মারা যাবার পর আমি কিছুদিন গিটার নিয়ে সময় কাটালাম। আমি অনেক রিলাক্স ফিল করলাম। তখনই বুঝলাম, মুড ডাউন থাকলে মিউজিক শুনলেই মুড ভালো হয়ে যায়।
আমি এক সময় কিন্তু সাউন্ডমিক্স করতাম। ওটা ১৯৯০সালে করতাম, সাউন্ডমিক্সিং একটা কোম্পানী আছে। এখন তো এই জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক মানুষ বের হয়ে গেছে। আমাদের সময় তো খুব কষ্টের ছিল। এত আরামের ছিলনা কোনও কিছু। আমি এখন হতাশ এই ভেবে যে, সাবিনা আপা রুনা আপার মত কেউ গান করছেনা বা ঐ ধরণের রেকর্ডিংও হচ্ছেনা।

আপনার পরিবারে কে কে আছেন ?

আমি, আমার ওয়াইফ আর একটি ছেলে। ছেলে অনেক ছোট। গ্রেড থ্রিতে পড়ছে।

ছেলে বড় হলে এমন কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি! ছেলেকে মিউজিক লাইনে নিয়ে আসবেন।

আমি আসলে অনেস্টলি তা চাইনা। কারণ আমাদের দেশে এখনো মিউজিক শিল্পীরা সেরকম স্বীকৃতি পায়নি। যেমন ক্রিয়েটিভ পেয়েছে কিন্তু মিউজিক সেভাবে পায়নি। আমাদের অনেক মিজিশিয়ানদের সন্তানরা কিন্তু এখানে আসবেনা! আবার অনেকেই হয়তো আসবে। আসলে হয় কি, সন্তানদের ব্যাপারে বলা যায়না! যারা আসতে চাইবে এই লাইনে তাদেরকে আবার থামানো যাবেনা, আসবেই। তাই প্রিপ্লান করে যে,আমার সন্তানকে মিউজিকে আনবো এটা হয়না! মিউজিসিয়ানদের দেখবেন ম্যাক্সিমাম মানুষ এড়িয়ে চলে। বলে, এটা কোনো প্রোফেশনই না! তাঁদের এরকমই ধারণা। তাই তাঁরা সেভাবে সম্মান দিচ্ছেনা। আমার কাছে মনে হয়, জানিনা কে কিভাবে নিবে! এই লাইনে
চেষ্টা করলে পয়সা কামানো যায়, তবে এটা সেরকম কোনো লেবেল না। নকীব ভাই প্রায়ই বলে, যদি রয়্যালটি পেতাম তবে চাকরী করতাম না। ওনার গান যেভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, উনি রয়্যালটি পেলে আর চাকরীর দরকার হতো না। কিন্তু সে তা পায়নি। আমরা সব দিক দিয়েই বিপদে আছি। তারপরেও ব্যাপার আছে, বাংলাদেশের শ্রোতা যারা, তাঁরা বিভিন্ন শ্রেনীর হয়। যেমন- মমতাজ আপার সবধরনের শ্রোতা আছে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত। এদিকে জেমস ভাইয়ের যে শ্রোতা আছে তা কিন্তু মমতাজ আপার লেবেলের সাথে মিলবেনা। তেমনি পেন্টাগনের শ্রোতা আর মাইলসের শ্রোতা আলাদা। বাইরের দেশের শ্রোতারা বাংলাদেশের শ্রোতাদের তুলনায় গান অনেক ভালো বুঝে। আমাদের দেশের শ্রোতারা কিন্তু সেভাবে বুঝেনা! তাই বিভিন্ন শ্রোতার বিভিন্ন টেস্ট।

কর্মক্ষেত্রে আপনার যে ব্যস্ততা! পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র দুটোকে কিভাবে মেইন্টেইন করেন ?

অবশ্যই বলতে হবে যে, প্রত্যেক মিউজিসিয়ানদের বউরা এটা সাফার করে এবং তাঁরা হেল্প করে মিউজিসিয়ানদের। তারা এই হেল্প করে বলেই আমরা মিউজিসিয়ানরা কাজ করতে পারি। তা না হলে আমরা কাজ করতে পারতাম না! যেমন আমার যখন কাজ থাকে তখন আমার বউ বাচ্চা দেখা থেকে শুরু করে, বাড়ির সমস্ত কিছু করতেছে। আমার বরঞ্চ ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। আর ছেলেরাতো থাকে মেয়েদের ওপর ডিপেন্ডেন্ট! বিয়ের আগে মাকে জ্বালায়, বিয়ের পর বউকে। আমাদের বউরা যদি হেল্প না করতো তাহলে আর মিউজিক করা হতোনা।

আমি মেয়ে হিসেবে আপনাকে স্যালুট দিলাম, হা হা হা।

নাহ! অস্বীকার করার কিছুই নেই। আমার বউ বা আমার মত মিউজিক করে যারা তাঁদের বউরা খুবই সহনশীল হয়।

গিটার নিয়ে কি, আপনার নিজস্ব কোনো পরিকল্পনা আছে ?

সব মিউজিসিয়ানদের একটা পরিকল্পনা থাকে যে, সোলো এ্যালবাম করবো এবং কিছু একটা ইন্সট্রুমেন্টাল করবো। আসলে আমি যে ইন্সট্রুমেন্টাল করবো, কার জন্য করবো ? মানে যে চিন্তাটা করবো, কারো না কারো শুনতেতো হবে! আমাদের এখানে তো সেইরকম শুনার লোক নেই। আরেকটা ব্যাপার আছে, আমার যেটা মনে হয়! মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে যার যে জায়গায় থাকা উচিত, সে সেই জায়গায় নেই। আমি একটা মিউজিক সিলেক্ট করছি প্রমোট করার জন্য কিন্তু সেখানে যোগ্যতা অনুযায়ী লোক নেই। অন্য কেউ সেখানে অবস্থান করছে। তাই এই জায়গাটায় আমরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। আগে ছিল! আমাদের সিনেমার সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহা, সমর দাস, আলাউদ্দিন আলী এরা ছিল। ওনাদের সময় কিন্তু একটা কিছু ছিল! মানে যে যেই কাজ জানতো, সেইই সেটা করতো। যে কোনো একজন নেতৃত্ব দিত কিন্তু এখন যাদের নেতৃত্ব দেয়ার কথা, তাঁরা তা দিচ্ছেনা। এমন কি এখন তাঁদের কাছ থেকে উপদেশ নেয়ার প্রয়োজনবোধ করছেনা কেউ। তাঁদের কাছ থেকে উপদেশ নিলে অনেক কিছুই করা যেত এই ক্ষেত্রে। ব্যান্ডে যেমন সিনিয়র শিল্পী আছেন- মাকসুদ ভাই, মানাম ভাই, বগি ভাই,
হামিন ভাই, নকিব ভাই যারা আছেন, তাঁদের উপদেশ নিলে অনেক ভালো ভালো গানের কাজ হত! আমরা আসলে ইন্ডিয়ান মিউজিককে পীরের মত মানছি, মানে তারা যা করছে আমরা তাইই করছি। সবসময় এই জিনিসটার বিরুদ্ধে আমি, পক্ষে না। আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে যারা কাজ করে তাঁরা কিন্তু অনেক স্মার্ট। একটা নকল প্যারালাল বের করা কিন্তু অনেক টাফ্ কিন্তু এই নকল প্যারালালে সময় না দিয়ে তাঁরা যদি মৌলিক কিছু করার জন্য সময় দিত, তাহলে ওটা আরও বেটার হত। আসলে এখানে মিউজিসিয়ানরা তা করতে পারেনা কারণ যারা টাকা দেয় তাঁরা প্রেসার ক্রিয়েট করে! এভাবে তাঁরা মিউজিসিয়ানদের প্রতিভা শেষ করে দিচ্ছে।

ব্যান্ডের জন্য আপনার কোনো আক্ষেপ বা আফসোস আছে কি ?

হ্যাঁ, অনেক বড় আক্ষেপ বা আফসোস আছে। কারণ আমাদের ব্যান্ডগুলোর কনসার্ট করার মত নিজস্ব কোনো জায়গা নেই! আমরা কোনো অডিটোরিয়াম ভাড়া করতে গেলে দেয়না, আমাদের মানে বাম্বাকে। আবার আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্ট করতে ভাড়া দেয়না। তবে স্কোয়ার কোম্পানিসহ বড় বড় কোম্পানিকে ভাড়া দেয়। আমাদের ব্যান্ডগুলোর জন্য একটি নিজস্ব জায়গার খুব প্রয়োজন! সংস্কৃতি অঙ্গনে সব ক্ষেত্রেরই জায়গা আছে যেমন- নাচ, গান, নাটক, আর্ট শুধু ব্যান্ডের জন্য নেই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন সংস্কৃতি মনের মানুষ! আমার দৃঢ় বিশ্বাস যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কানে, আমাদের ব্যান্ডগুলোর জন্য একটি জায়গা দরকার কথাটি পৌঁছানো যেত! তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই এই বিষয়টি দেখতেন। এটাই আমাদের প্রত্যেক ব্যান্ডের আফসোস ও চাওয়া।

ভাইয়া, আশা করি সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকার মাধ্যমে আপনার এই আক্ষেপ কোনো না কোনোভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যাবে এবং আপনাদের সবার আশা পূর্ণ হবে। আপনার জন্য রইল সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভকামনা।

সঙ্গীতাঙ্গন এর সবার জন্যেও রইলো আমার পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভকামনা।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

18,780FansLike
700SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles

betwinner melbet megapari megapari giriş betandyou giriş melbet giriş melbet fenomenbet 1win giriş 1win 1win