– সালমা আক্তার।
কালজয়ী গান সৃষ্টির ক্ষেত্রে কথা ও সুরের ভূমিকা অপরিসীম। সঙ্গীতাঙ্গন মনে করে, শিল্পীর জাগ্রত চেতনাবোধই জন্ম দিতে পারে কালজয়ী গান। প্রকৃত শিল্পী, কথা ও সুরের মাধুর্যে অভিভূত হয়ে যখন গান করেন তখনই জন্ম নেয় কালজয়ী গান। জাত শিল্পী বরাবরই ভালো গানে কন্ঠ দিতে ইচ্ছা পোষণ করেন। আর প্রকৃত শ্রোতারাও খুঁজে ফেরেন কালজয়ী গানের সাধ। পাঠকের ভাবনায় আজ আমরা জানবো সঙ্গীত প্রেমিক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের গানের ভালোলাগাবোধ নিয়ে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়ন শেষ করে বর্তমানে পেশায় চাকুরীজীবি, পদবী – মার্চেন্ডাইস ম্যানেজার (Merchandise Manager), Li & Fung Bangladesh Ltd। সুযোগ পেলেই গানের ভুবনে ডুবে যান। ইকবাল হোসেন মনে করেন সুর গানের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সুরকার যখন সুরের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে যাবেন তখন আপনা-আপনি ভালো কথা পেলেই সুর নিয়ে ভাববেন।
তবে গায়কি সুরকে ধারণ করে যার যার নিজস্ব স্টাইলে হয়। বিভিন্ন শিল্পীর স্টাইল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। স্টাইল যাই হোক ভালো গানের কথা ও সুর কালজয়ী গানের জন্ম দেয়।
প্রিয় শিল্পী বলতে ইকবাল হোসেন বলেন, স্বদেশ ও বিদেশ মিলে অনেকেই আছেন, কথা সুর, সংগীত ও গায়কি মিলিয়ে বেশ কয়েক জন উল্লেখযোগ্য আছেন, বিশেষ করে আমার কিশোর কাল, তারুণ্য ও যৌবনকে ঘিরে আছে এল আর বি, জেমস, আজম খান। এছাড়া সুর ও মিউজিক এ আর রহমান, সেই সাথে শচীন দেব বর্মন, কিশোর কুমার অসাধারণ তাদের সৃষ্টি, অল্পতে মন ছুঁয়ে যায়। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেরই গান শুনি তবে তেমন করে মনকে ছুঁতে পারছে না। আসলে সংগীত প্রতিনিয়ত শিখার বিষয়, যত যত্ন করা হবে তত রত্ন।
অডিও ভিডিও সম্পর্কে তিনি জানান, গানের জন্যে অডিও মূখ্য বিষয়, গান শ্রবণ ইন্দ্রীয়’র অনুভবের ব্যাপার। ভিডিও বিষয়টি কমার্শিয়াল ভাবনা! অনেকটা আমার দৃষ্টিতে গুরুত্বহীন। তবে বর্তমানের কিছু ছেলে মেয়ে ভিডিও’র প্রতি দুর্বল মনে হচ্ছে।
ইউটিউবে গান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা হওয়াতে আমি মনে করি ভালো হয়েছে, সহজে গান পেতে পারছি, গান সৃষ্টিও সহজলভ্য হয়েছে।
বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য বলতে গেলে, শুধু এইটুকু বলবো, ভালো, ভালো মৌলিক গান শুনুন। ব্যান্ড সঙ্গীতের পাশাপাশি ভালো মৌলিক গান আমার যেমন ভালো লাগে, আমি মনে করি, অন্যান্য শ্রোতারাও ভালো গানের জন্য অপেক্ষায় থাকে।
বিদেশের তুলনায় আমাদের দেশীয় সঙ্গীতের কাঠামো ব্যবস্থা তেমন ভালো নেই বললেই চলে। যার ফলশ্রুতিতে এখানে তেমন ভালো গান হওয়াটাও কষ্ট সাধ্য। যার কারণে আমাদের অনেকেই দেশীয় গানের চেয়ে কখনো কখনো বিদেশী গানের প্রতিও দুর্বলতা অনুভব করি। বাইরের দেশগুলোতে এ দিকে খুব সতর্ক। যেমন বাংলাদেশের নোবেল, সালমা, ঐশী এদের কথা যদি বলি, দেখা যাবে এদের ভোকাল ভালো হয়েও কতটা কালজয়ী গান উপহার দিতে পারবে, কে জানে ? সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য অনেক সময় অনেক কিছু থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। যাইহোক বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে গান সব সময় আনন্দের খোড়াক যুগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা রাখি, সংগীতে যুক্ত সবার কাছে।