– মোশারফ হোসেন মুন্না।
ভারতীয় রিয়েলিটি শো সারেগামাপা-তে ২০১৮-১৯ মৌসুমে তৃতীয় স্থান অর্জন করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মাইনুল আহসান নোবেল। নোবেলম্যান নামেও পরিচিত তিনি। গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করা একজন সাধারন পরিবারের সন্তান নোবেল। সাধারণ পরিবারের অসাধারণ সন্তান হিসেবে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ইতিমধ্যে। সারেগামাপা থেকে শুরু করে আজ অবধি মিডিয়া অঙ্গন প্রতিনিয়ত তাকে নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা করে গেছেন। নোবেল একেক সময় একেকটা ইস্যু নিয়ে মিডিয়াতে স্থান করে আছেন। এইতো কিছুদিন আগে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে তার কিছু উদ্ভট কথা শোনা যায়। এই ইস্যু নিয়ে অনেকদিন খবর এসেছেন তিনি। তবে এবারের বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সারেগামাপাতে তিনি জেমসের বাবা গান দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন কিন্তু এবার শোনা গেল নোবেল এর গান চুরির অভিযোগ। তিনি ব্যান্ডের গানকে চুরি করে গেয়েছেন নিজের নামে। গত বুধবার ১৮ ডিসেম্বর রাতের বেলা নোবেল একটি গান প্রকাশ করেন ফেসবুক ও ইউটিউবে। দেশ শিরোনামে গানটির কথা ও সুর নিজের বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু এই গানকে চুরি করা
হয়েছে বলে নোবেল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ব্যান্ডদল অ্যাবাউট ডার্ক। কিন্তু এই ব্যাপারে গানটির অভিযোগ তোলার পরও তিনি কোন পাত্তাই দিলেন না। গানটির লেখক নাসির উপস্থিত প্রমাণ দেওয়ার জন্য কমেন্ট ব্যান্ড করে নোবেলের একাউন্টে পাঠিয়ে দেন। হয়তো নাসিরের প্রমাণটি গ্রহণযোগ্যতা থাকায় নোবেল নিরুপায় হয়ে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব থেকে গানটি সরিয়ে ফেলেন। এবাউট ডার্ক ব্যান্ডদলের গিটারিষ্ট প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এরফান আহমেদ পূর্ণ জানান যে নোবেল যে গানটি নিজের বলে প্রকাশ করেছিল গানটি ২০০৫ সালের নাসিরুল্লাহর লেখা। ২০১৬ সালে গানটিতে দুটি লাইন সংযোজন করে নোবেল। তারপর নোবেলকে এবাউট ডার্ক ব্যান্ড দল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর ওই গানটা থেকে বাড়তি দুই লাইন কেটে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে গানটি আবার নতুন করে প্রকাশ করি আমরা। তিনি বলেন এই নিয়ে দুইবার তিনি এই গানটিকে নিজের বলে দাবি করেন এবং আলোচনার মুখে পড়ে গানটি সরিয়ে নেন। নোবেল এবার যে গানটি প্রকাশ করেছেন এটি প্রকাশের আগে প্র্যাকটিস করা গানের রেকর্ড ভার্সনটি ছিল। তখন নোবেল গান নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু সেই অপরাধ তিনি আবারও করলেন। নোবেল এর বিরুদ্ধে এটা একটা অপমানজনক আত্মপ্রকাশ। কি কারণে তাকে ব্যান্ড দল থেকে বের করে দেয়া হয় তার কারণ শুনলে অবশ্যই হতবাক হওয়ার মতো। নোবেলকে এবাউট ডার্ক ব্যান্ডদল থেকে ব্যান্ডের কিছু যন্ত্রপাতি চুরির দায়ে অভিযুক্ত করে বের করে দেন। বিষয়টি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। নোবেলের যত ভক্ত ছিল তারা সবাই হতাশ। কি করে করতে পারলেন তিনি এমন কাজ এ প্রশ্ন যেন সবার মনে। অনেকের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে বলে নোবেলের ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ করে রেখেছেন। হয়তো তার কাছে এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দেওয়ার মতো কোন ভাষা জানা নেই। তাই তিনি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন সবার অন্তরালে। কিছুদিন আগে তিনি ফেসবুকে এই বিষয়ে নিয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন। তবে নোবেলের বিষয়টা যদিও নোবেল এর কাছে নতুন কিন্তু গোটা বাংলাদেশে এই ধরনের চুরি হয়ে আসছে। কখনো গানের কথা কখনো সুর প্রতিনিয়তই চুরি হয়ে আসছে। এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সোচ্চার হতে হবে। এই ধরনের অপরাধমূলক কাজ যেন আর কেউ না করে তার উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার। কারণ গান একটি শিল্প আর এই শিল্পকে কেউ অসৎ উপায়ে ব্যবহার করে নিজেকে জনপ্রিয় করার মত এমন অন্যায় অবশ্যই মেনে নেওয়ার মত না। আসুন আমরা সবাই বাংলা সংস্কৃতিকে জানি বাংলা গানের সাথে থাকি সঙ্গীতাঙ্গন এর সাথে থাকি সংগীতের ভালোবাসায়। সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এই প্রত্যাশায় সঙ্গীতাঙ্গন।