– সালমা আক্তার।
পথ চলতে চলতে হঠাৎ করেই পা থমকে দাঁড়াতো হয় একটা সময়, শুধু ভালোলাগার আবেশটুকু হৃদয় ছুঁয়ে গেলে, রাস্তার পাশের বাড়ি থেকে আওয়াজ ভেসে আসলে, প্রিয় শিল্পীর গানের আওয়াজ ভেসে আসলে। স্পীকারের পর্দা ভেদ করে কন্ঠে ধ্বনি ভেসে আসছে আর মুগ্ধ আমি বিস্মিত হয়ে শুনছি গানের কথা, জানালেন নাছিমা আক্তার, পেশায় সহকারী শিক্ষক। ভালোবাসেন অবসরে বসে বসে গান শুনতে, প্রিয় শিল্পী বলতে বোঝেন প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চু, কোকিল কন্ঠি রুনা লায়লা, সামিনা চৌধুরী ও কুমার বিশ্বজিৎ।
সংগীতকে মনের খোরাক মনে হয় নাছিমা আক্তারের কাছে। সময় ও পরিবেশের ধারক ও বাহক। সকল শিল্পীদের কাছে প্রত্যাশা তারা যেন হারানো সুরগুলো আবার খুঁজে আনে, নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে এটাই বেশি আশা রাখি। গান করার ক্ষেত্রে কথা, সুর ও সংগীত পরিচালনার প্রতি শ্রদ্ধা রাখা প্রয়োজন।
গান গাওয়া প্রসঙ্গে আরও বলেন গান হওয়া উচিত বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে মনে রেখে। এমন গান হোক যা সব ধরনের মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।
গান যেহেতু মনের আবেগকে ছুঁয়ে যেতে পারে তাই গান, সময়ে গান হওয়া উচিত, সর্বকালের গান। যেমন রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সংগীত, লালনগীতি ইত্যাদি।
গান গাওয়া প্রসঙ্গে বলেন কখনও গুনগুনিয়ে গেয়ে উঠি, তবে কোন শিল্পীর শ এর গুনও নেই। বলতে পারেন ঘর সিঙ্গার।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্য বলবো নতুনদেরই সব কিছুর হাল ধরতে হয় তাই জেনে, বুঝে গাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। গান বেঁচে থাক হৃদয়ে হৃদয়ে।
সুন্দর গান সৃষ্টির বিষয়ে নাসিমা আক্তারের অভিমত, মা, মাটি ও দেশকে ভালোবাসলে অনায়াসে সৃষ্টি হয়ে উঠবে সুন্দর গান। তাঁর মতে গান গাইতে পারলেই শিল্পী হওয়া যায় না, প্রয়োজন অনুশীলন, ধৈর্য ও গানের প্রতি ভক্তি, থাকতে হবে নতুন নতুন সৃজনশীলতার মনোভাব, গুণীদের গান শোনা প্রয়োজনীয় সব সময়।