মোশারফ হোসেন মুন্না।
গায়ক যখন গান গায় তখন তার চারপাশে বাদ্যযন্ত্র বাজতে থাকে। সুর আর বাদ্যযন্ত্রের ধ্বনিতে মেতে ওঠে প্রাঙ্গণ। হঠাৎ যখনই বাদ্যযন্ত্রের ঝংকার থেমে যায়, সুরের মূর্ছনায় থাকা পরিবেশটা শান্ত হয়ে যায়। ঠিক তেমনি মানুষের দেহের ভিতর অনেক ধরনের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে যা মানুষকে সবসময় সচল ও প্রাণবন্ত রাখে। যখনই মানুষের দেহের ভেতরের ইন্সট্রুমেন্ট গুলো বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক তখনই মানুষ চলে যায় না ফেরার দেশে। দেহের ঘুড়ি কাটা একসময়় বন্ধ হয়ে যায়, যখন তার মধ্যে আর টাইমিং থাকেনা। তেমনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক পৃথ্বীরাজ। দেহের ভেতরের ইন্সট্রুমেন্ট গুলো যেন আর কাজ করছিল না। নিজ স্টুডিওতে কাজ করা অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। আজ রবিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে তিনি মারা যান রাজধানীর সিটি হাসপাতালে। গণমাধ্যমকে, ডিউটি অফিসার জানান, রাত তিনটার দিকে তাকে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন তাকে জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। জরুরী বিভাগে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তাকে কর্তব্যরত ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।
পৃথ্বীরাজের বন্ধু গীতিকার যাযাবর রাসেল বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে কাজ করার জন্য ধানমন্ডিতে নিজের স্টুডিওতে যান পৃথ্বী। এরপর রাত প্রায় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার স্ত্রী বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরছিলেন না। শুরুতে ধারণা করা হচ্ছিল তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই ফোনে রেসপন্স না করায় আতংকিত হয়ে পড়েন সবাই এবং সেখানে যান। অনেকবার দরজা নক করেও ভেতর থেকে পৃথ্বীরাজের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্টুডিওর দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় তিনি চেয়ারেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছেন। পরে তাকে সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জীবন যেখানে থেমে যাবার ঠিক সেখানেই থেমে যায়। বলতে চাওয়া অনেক ভাষায় বলা হয় না থেকে যায় মনের মধ্যেই। সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে চলে যাওয়া পৃথ্বীরাজের আত্মার শান্তি কামনাা করি। তার পরিবারের জন্য সমবেদনা জ্ঞাপন করি।