শাহরিয়ার সাকিব।
সুফিয়ানের কথায় কিশোর দাসের সুর ও সঙ্গীতায়োজনে মায়া ও মমতার একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী ও আসিফ আকবর। সৈয়দ আব্দুল হাদী একজন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী অসংখ্য গান গেয়ে, মানুষের মন জয় করেছেন। যার গানের ভক্ত আছে হাজারো কোটি। জীবনের সবটা সময় শেষ করেছেন তিনি গানের পিছনে। এখনো আছেন ভবিষ্যতেও থাকবেন যতদিন বেঁচে আছেন। তিনি বলেন গানের সাথে আছি গানের সাথে থাকতে চাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন গানকে ভালোবেসে আমি যেমন করে গানের হয়ে গেছি তেমনি গানও আমাকে ভালোবেসে আমার হয়ে গেছে। তাই আমিও পারবোনা গানকে ভুলে থাকতে গান ও পারবেনা আমাকে ভুলে থাকতে। বলা যায় গানের সাথে আমার গভীর মিতালী হয়ে গেছে।
বাবার গান এর আগেও আমি ২০১৭ সালের দিকে করেছিলাম। গানটি লেখা ছিল গাজী মাজহারুল আনোয়ারের। আমার বাবার কথা শুধুই মনে পড়ে। সে গানটা যখন গেয়েছিলাম তখন খুব বেশি মনে পড়ে গিয়েছিল আমার নিজের বাবার কথা। বাবার সাথে কাটানো সময়, সব যেন আমার চোখের সামনে ভাসতে লাগল। এটাও বাবাকে নিয়ে গান কিন্তু সেই গানের অনুভূতি আর আসিফের সাথে গাওয়া গানের অনুভূতি এক রকম নয়। সেখানে আমি ছেলে হয়ে আমার নিজের বাবাকে অনুভব করতে পেরেছি। কিন্তু এই গানে আমি নিজে বাবা হয়েছি। বাবা হয়ে ছেলেকে নিয়ে গান করে আনন্দ পেয়েছি। গানটি গাওয়ার পর আমার একটা অনুভূতি কাজ করেছে আর সেটা হলো পৃথিবীর প্রত্যেকটা বাবা ছেলের মাঝে, যেন এমন একটা মায়ার বন্ধন সৃষ্টি হয়, যেখানে শুধু থাকবে বাবা ছেলের ভালোবাসা। আশা করি গানটি আমার এবং আসিফের ভক্তদের মন ভরাবে। পুরনো ভালোবাসার চিত্র ছাপিয়ে একেবারে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছেন দুই প্রজন্মের অন্যতম এই দুই শিল্পী। প্রথমবারের মতো দুজনে কণ্ঠ দিলেন একই গানে। নাম ‘বাবা (কথোপকথন)’। এটি মূলত সাজানো হয়েছে বাবা ও ছেলের মধ্যকার সম্পর্কের কথোপকথন দিয়ে। যেখানে বাবার কথাগুলো গাইলেন সৈয়দ আবদুল হাদী, আর ছেলের কথাগুলো আসিফ আকবরের কণ্ঠে। কিশোর বলেন, জীবনে কিছু কিছু মুহূর্তের অনুভূতি এতোটাই রোমাঞ্চকর, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আজ ২৪ নভেম্বর তেমন কিছু মুহূর্তের মধ্য দিয়ে আমি অতিক্রম করেছি। কারণ, সৈয়দ আব্দুল হাদী স্যারের কণ্ঠ ধারণ করেছি আমি। এটা আমার সঙ্গীত পরিচালক জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি।
কিশোর আরও জানান, এই বিশেষ গানটির সুর-সঙ্গীতে মূল কৃতিত্ব আসিফ আকবরের।
জানা গেছে, গানটির ভিডিও নির্মাণ নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের বড় পরিকল্পনা রয়েছে। আর পুরো প্রজেক্টটি প্রকাশ হবে শিগগিরই। সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে কিশোর, আসিফ আকবর ও সৈয়দ আব্দুল হাদী-র জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।