মোশারফ হোসেন মুন্না।
দেশ ও দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কর প্রদান করা একটি মানবিক দায়িত্ব। কোন একটি দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে সঠিক নিয়মে কর প্রদান করা জরুরি। বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ। এই দেশকে উন্নতি করতে এই দেশের মানুষকে আরও এগিয়ে নিতে অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী হতে হলে অবশ্যই কর প্রদান করতে হবে। তবে হ্যাঁ সেই দিক থেকে পিছিয়ে নেই শোবিজ অঙ্গনের সঙ্গে শিল্পীরাও। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সর্বোচ্চ ১৪১ জন করদাতা ব্যক্তির মধ্য থেকে ট্যাক্স কার্ড পাচ্ছেন সংগীতশিল্পী তাহসান রহমান খান, এসডি রুবেল এবং মমতাজ বেগম। জাতীয় ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা, ২০১০ (সংশোধিত)’ এর বিধান অনুযায়ী ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৪টি, কোম্পানি পর্যায়ে ৫৭টি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আটটিসহ মোট ১৪১টি ট্যাক্স কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে প্রাপ্তদের নামের তালিকার গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। ৫ নভেম্বর প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী সর্বোচ্চ কর দিয়ে গায়ক-গায়িকা ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পাচ্ছেন এই তিন কণ্ঠশিল্পী। এদের মধ্যে তাহসান রহমান খান ঢাকা কর অঞ্চল-১ এ কর প্রদান করে থাকেন। এস ডি রুবেল ঢাকা কর অঞ্চল-১২ এ কর প্রদান করেন এবং মমতাজ বেগমও কর অঞ্চল-১২ এ কর প্রদান করেন।
এতে মিলছে কার্ডধারীর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। যেকোন জাতীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ স্থলজ, আকাশপথে সরকারি কোটা অনুসরণে আসন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন তারা। কার্ডধারীরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সুচিকিৎসা সুবিধা এবং নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, করদাতার সংখ্যা বাড়ানো এবং নাগরিক কর প্রদানে উৎসাহিত করতে সেরা করদাতা হিসেবে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ডাক্তার, আইনজীবী, প্রকৌশলী, তরুণ, খেলোয়াড়, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, সাংবাদিক, নারী চাকরিজীবী, অভিনয় ও কণ্ঠশিল্পীসহ ১৮টি বিভাগে এই কর পুরস্কার প্রদান হবে। আসুন আমরা শপথ করি সঠিক নিয়ম মেনে কর প্রদান করি। দেশ ও দশের সেবা করি। সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে সবার জন্য শুভ কামনা।