মোশারফ হোসেন মুন্না।
১৯৫২ সালের ১৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের সিলেটের জমিনে জন্মগ্রহণ করেন উপমহাদেশের বরেণ্য গায়িকা রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী আর মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা। বাবা পেশায় ছিলেন সরকারি কর্মচারী এবং মা সংগীতশিল্পী। বাবা-মা কোনদিনও ভাবিনি তার ছোট্ট মেয়েটি বড় হয়ে দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী হবে। জীবনের প্রথম প্লেব্যাক করেন পাকিস্তানের সিনেমায়। তারপর পাকিস্তান বাংলাদেশের অসংখ্য সিনেমায় তার প্লেব্যাক গান গাওয়া হয়। ১৯৭৪ সালের শুরুতে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ সিনেমায় গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। গানের কথা ছিল ‘ও জীবন সাথী তুমি আমার’।
দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গান করে চলেছেন উপমহাদেশের বরেণ্য এই গায়িকা। ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন এই গুণী তারকা শিল্পী। কুড়িয়েছেন কোটি মানুষের ভালোবাসা। তার গানে তিনি মন ভুলিয়েছেন তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সকল বয়সী গান প্রেমীদের। নিজ দেশ ছাপিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। শুধু শিল্পী হিসেবে নয় অভিনয় গানের কথা এবং নাচেও তার পারদর্শিতা রয়েছে। চার বছর বুলবুল একাডেমি করাচিতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শিখেছিলেন এ তারকা। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। পেয়েছেন নানা পুরস্কার। এসবের মধ্যে রয়েছে দেশ থেকে চারবার জাতীয় চলিচ্চত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সঙ্গীত পরিষদ স্বর্ণপদক।
আজ ১৭ নভেম্বর প্রখ্যাত এই গায়িকার জন্মদিন। এই দিনে রাত গভীর হওয়ার আগে থেকেই সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্ত অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। দেখতে দেখতে জীবনের ৬৬টি বছর পার করে পা রেখেছেন ৬৭তে। আগামীর দিনগুলো হোক সুন্দর এবং জীবনে আসুক কল্যাণ সেই কামনায় সঙ্গীতাঙ্গন।