মোশারফ হোসেন মুন্না।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন আইসিসিআর অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন দেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। জানা যায়, ১৫ নভেম্বর তার হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ। এদিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে পদক প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং তার প্রতিষ্ঠান সুরের ধারার ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের পরিবেশনাও থাকবে। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া সঙ্গীতশিল্পী। এছাড়া অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বঙ্গভূষণ’ পদক। ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রালয়ের ‘সঙ্গীত সম্মান পুরস্কার’, শ্রেষ্ঠ নারী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে পরপর দুবার পেয়েছেন আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কার।
রেজওয়ানা চৌধুরী ধানমণ্ডি বালিকা বিদ্যালয়ে ক্লাস সিক্সে পড়াশেনাকালে রবীন্দ্রসঙ্গীতের চর্চা শুরু করেন। তার বাবা মাজহার উদ্দিন খান ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআরটিসি সাবেক মহাব্যবস্থাপক। মা ইসমাত আরা খান। মা-বাবা’র উৎসাহে চাচা আবদুল আলীর নিকট গান শেখা শুরু করেন। পরবর্তীতে গান শেখেন ছায়ানটের সনজীদা খাতুন ও আতিকুল ইসলাম এর নিকট। এ ছাড়া বুলবুল একাডেমিতেও গান শিখেছেন। হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর সঙ্গীতশ্রাস্ত্রে ভারত সরকারের শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে পড়তে যান। শান্তিনিকেতনে তিনি কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, শান্তিদেব ঘোষ প্রমুখের সান্নিধ্যে ও তত্ত্বাবধানে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেন। রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি গভীর ভালোবাসা তার মধ্যে প্রথিত করে দেন মূলত কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপরও শিক্ষা লাভ করেছেন। তার সাফল্য অর্জনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।