মোশারফ হোসেন মুন্না।
ও মোর বানিয়া বন্ধু রে—–?
একটা তাবিজ বানায়া দে—-!
একটা মাদুলী বানায়া দে!
ওরে চলিয়া গিয়াছে প্রাণের ও সোহামি
স্বপনে আইছে—!
গানটি শুনেই বুঝে গেছেন কার কথা বলবো! হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন। বলছি ক্লোজআপ ওয়ানখ্যাত গায়িকা সালমার কথা। যিনি মাদুলীর গান গেয়ে আদুলি হয়েছেন সারাদেশের সঙ্গীত পিপাষুদের কাছে। যার ভক্ত রয়েছে সর্বস্তরে।
সেই সঙ্গীত শিল্পী সালমা গান থেকে এবার মা ও মাটির দেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের পাশে থেকে তাদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণের জন্য কাজ করেছেন। সমাজ নয় দেশের জন্য দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করবেন সালমা। শিক্ষার গুরুত্ব তার মনে সেই খেয়াল এনে দিয়েছে। দেশের শিক্ষিত জনশক্তি উন্নয়ন এ তার এই মহান অনুভূতি সত্যিই ভালো লাগার। মন বলে তার কাজ করবে মানবিক উন্নয়নের। তাই শুরু করে দিয়েছেন মনের খেয়ালে কাজ। দেশের কল্যাণে। গড়ে তুলেছেন ‘সাফিয়া ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট’ নামের সংঘটন। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিক্ষা উপকরণ খাতা, কলম আর খেলার সরঞ্জাম বিতরণসহ দুপুরের খাবার পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সালমার এই মহতি কাজের পারম্ভিকতা। তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সমাজের জন্য কিছু করার ইচ্ছা নিয়ে বসে ছিলাম। কিন্তু কীভাবে কাজটি শুরু করব, বুঝতে পারছিলাম না। কারও সহযোগিতাও পাইনি। অবশেষে আমার স্বামী আইনজীবী সানাউল্লাহ নুরের সহযোগিতায় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করলাম। মানবিক উন্নয়নে প্রধান এবং একমাত্র হাতিয়ার শিক্ষা। তাই বাকি জীবনটা আমি আর আমার স্বামী মিলে শিক্ষা নিয়ে কাজ করব। আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষের প্রচেষ্টা যদি সামান্য হলেও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, সেটাই হবে পরম পাওয়া।
এরই মধ্যে তিনি গত মঙ্গলবার স্বামীকে নিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বড় দাসপাড়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান এবং সারাদিন সেখানে ১১ নম্বর বড় দাসপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কাটান। শিশুদের কলকাকলিতে মুখর দারুণ একটি দিন কাটিয়ে নিজের ছেলেবেলা ফিরে গিয়েছিলেন মনে মনে। এরপর কুষ্টিয়া অঞ্চলের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবার আর তার সাথে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুলগুলোয় যাবার মনস্থির করেন সালমা। সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে তার এই মহতি কাজের জন্য জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।