মোশারফ হোসেন মুন্না।
ফেসবুক একটা অতি পরিচিত নাম। যার ব্যবহার পৌছে গেছে ৭ বছরের সন্তানের হাতেও। এই নামের সাথে সবাই পরিচিত। যেমনি পরিচিতি আছে ভালো গুনের জন্য তেমনি খারাপও। এক দিকে কল্যাণ অন্যদিকে বিপদও। তেমনি বিপদে পড়েছেন আমাদের অতি পরিচিত গানের মানুষ জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ন্যানসি। এর আগেও এই ধরণের সমস্যায় পড়েছেন তিনি। এবার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, আমার নামে আবারও আরেকটি ভুয়া পেইজ বেশ সরব হয়েছে। আবার তার ১৩ হাজার ফলোয়ারও আছে! আপনাদের আবারও বলছি এই পেইজ ব্যতীত আমার আর অন্য কোনো পেইজ নেই, এমনকি কোনো ফেসবুক আইডিও নেই। এখন আপনাদের সিদ্ধান্ত আপনারা এসব ভুয়া পেজ ফলো করবেন, নাকি রিপোর্ট করবেন। বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট যা ২০০৪ সালের ৪ ফরব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানা শোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু এর ব্যবহার এখন মানুষের কল্যাণের সাথে সাথে অকল্যাণও করছে। মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্স এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যাল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারা বিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ৩০০ মিলিয়ন কার্যকরী সদস্য। ফেসবুক তার চলার পথে বেশ কিছু বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে এটা আংশিকভাবে কার্যকর আছে। এর ব্যবহার, সময় অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নিরুৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক ওয়েবসাইটকে আইন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার জাকারবার্গের সহপাঠী কর্তৃক, তারা অভিযোগ এনেছেন যে ফেসবুক তাদের সোর্স কোড এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। তাই আমরা সচেতন হবো।