– মোশারফ হোসেন মুন্না।
আজ ২৫ জুন। ২০০৯ সালের এই দিনে লাখো ভক্তকে চোখের জলে ভাসিয়ে পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন মার্কিন পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন। বিংশ শতাব্দীর সাড়া জাগানো এই উজ্জ্বল তারকা আধুনিক পপ সঙ্গীতের ইতিহাসে শুরু করেছিলেন আরও এক ‘নতুন আধুনিক’ অধ্যায়। ‘থ্রিলার’ এ্যালবাম বদলে দেয় তার জীবন। দারুণ গায়কী ও ইউনিক নাচে এই সঙ্গীতশিল্পী দর্শকশ্রোতাদের মনে আজও দখল করে রয়েছেন এক শক্ত আসন। মাইকেল জ্যাকসনের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট। ১৯৬৩ সালে মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই গানের জগতে প্রবেশ করেন তিনি। এর এক বছর পর তিনি ও তার চার ভাইয়ের ব্যান্ড ‘জ্যাকসন ফাইভে’ গান গাইতেন। এসময় সর্বকনিষ্ঠ এই শিল্পীর গান ও পারফরম্যান্স সবাইকে মুগ্ধ করে।
এরপর ১৯৭১ সালে তিনি এককভাবে গান গাইতে শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে জ্যাকসনের প্রথম একক এ্যাালবাম প্রকাশ পায়। ‘অফ দ্যা ওয়াল’ নামের এই এ্যালবামটি বিক্রি হয় ১০ মিলিয়ন কপি। ১৯৮০ সালে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। ‘বিট ইট’ গানটি দীর্ঘদিন ছিলো জনপ্রিয়তার শীর্ষে। গানের সঙ্গে সঙ্গে অসাধারণ নাচ পরিবেশনা তাকে এনে দিয়েছে রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেইম খ্যাতি। মাইকেল জ্যাকসনই একমাত্র পপ সঙ্গীত শিল্পী যিনি এই খ্যাতি পেয়েছেন।
কৃষ্ণাঙ্গী জ্যাকসন প্লাস্টিক সার্জারি করে শ্বেতাঙ্গী হন। চেহারা বদলে ফেলে জন্ম দেন নতুন বিতর্কের। জ্যাকসন ছিলেন একজন উদারচিত্তের সমাজসেবী। শিশুদের সাহায্যের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন হিল দ্য ওয়ার্ল্ড। এছাড়াও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার উন্নয়নে তিনি প্রচুর অর্থ দান করেছেন।
মাইকেল জ্যাকসনের সেরা এ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে অফ দ্যা ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) ও হিস্টোরি (১৯৯৫)। এ যাবত বিশ্বব্যাপী তার ৭৫ কোটিরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে। সঙ্গীতে সবধরনের পুরস্কারসহ থ্রিলারখ্যাত এই তারকা মোট ১৩ বারের মতো পেয়েছেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। ২০০৯ সালের ২৫ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫১ বছর বয়সে লস এঞ্জেলসে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মেয়ে প্যারিস শোক পালন করবেন প্যারিসে। ২১বছর বয়সি এই মডেল তারকা তার প্রেমিক আর বন্ধুদের নিয়ে এখন আছেন প্যারিসে। মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুবার্ষিকীতে লাখো ভক্তদের হৃদয়ের গভীর থেকে এই পপ সম্রাটের জন্য রইলো গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।