– সালমা আক্তার।
মুছে গেল জীবনের আলো, মিশে গেছে অন্ধকারে জীবনের দ্যুতি, দূর পারাপারের ডাক এসেছে, খেয়ালে নেই আজ আর কে ভালোবেসেছে, কে মনে রেখেছে, হৃদয়ের গহীনে কি ছবি এঁকেছে !
দেশ বরেণ্য একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী খালিদ হোসেন সংকটাপন্ন অবস্থা মুক্ত করে চলে গেছে না ফেরার দেশে, তিনি একাধারে ছিলেন গবেষক, স্বরলিপিকার, সংঙ্গীতপ্রশিক্ষক।
বেশ কিছু দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর বুধবার রাত ১০.৪৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটের সি সি ইউ-তে ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে খালিদ হোসেনের চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন ডাক্তার। এক বছর আগে ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানকার ডাক্তার ওনাকে প্রতি মাসে একটি করে ইনজেকশন নেবার নির্দেশ দেন, গত সাত মাস ধরে ইনজেকশন নিয়ে আসছেন তিনি অষ্টমবার ইনজেকশন দেবার জন্য ৪ মে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে, অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালেই থেকে যেতে হয়।
খালিদ হোসেন সংঙ্গীত প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ড এ দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুল গীতির আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য। ছয়টি নজরুল সংগীতের আ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার কন্ঠে। এছাড়া আধুনিক গানের একটি ও ইসলামী গানের বারোটি আ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার কন্ঠের সুর লৌহরীর ঝংকারে। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০০ সালে একুশে পদক লাভ করেন খালিদ হোসেন। পেয়েছেন নজরুল একাডেমী পদক, শিল্পকলা একাডেমী পদক, অসংখ্য পুরষ্কার ও সম্মাননা। আমরা সকল ভক্ত ও সংগীত প্রেমী জনতা বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।