– মোশারফ হোসেন মুন্না।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার মদনপুর গ্রামে সেই অচেনা গান পাগল ছেলে মনির খান। অঞ্জনা নামের সেই তাগরা যুবক। যার গানের নেশা ছিলো বহু আগে থেকে। মনির খানের সঙ্গীতের হাতেখড়ি হয় ওস্তাদ রেজা খসরুর কাছে। পরবর্তীতে তিনি স্বপন চক্রবর্তী, ইউনুস আলী মোল্লা, খন্দকার এনায়েত হোসেনসহ আরও কয়েকজন ওস্তাদের কাছে গানের তালিম নেন। ১৯৮৯ সালে তিনি খুলনা রেডিওতে অডিশন দিয়ে আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত তিনি এখানে একজন নিয়মিত শিল্পী হিসেবে গান করেন। ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৯৬ সালে তার প্রথম ক্যসেট ‘তোমার কোন দোষ নেই’ বের হয়। ক্যাসেটটি জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তীতে তিনি একাধিক ক্যাসেট বের করেছেন। তারপর জনপ্রিয়তা থেকে জনসেবা। শুরু হয় রাজনৈতিক জীবনের পথ চলা। কমে আসে গানের সংখ্যা। কিন্তু যেই গান তৈরি করেছে মনির খান সেই গান ছেড়ে যাইনি তাকে। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘঠিয়ে আবারও গানে। সম্প্রতি রাজনীতির মাঠ থেকে বিদায় নিয়েছেন। পুরোদমে মন দিয়েছেন গানে। অনেকদিন পর আবারও ফিরছেন তিনি একক এ্যালবাম নিয়ে। অনেকদিন ধরেই তিনি অনলাইনে গান প্রকাশ করে আসছিলেন। সেগুলো ছিল সিঙ্গেল ট্র্যাক। এবার দশটি গানের পূর্ণাঙ্গ এ্যালবাম নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি।
আগামী ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রকাশ করতে যাচ্ছেন ‘হৃদয়ের যন্ত্রণা’ নামের এ্যলবাম।
গানগুলোর কথা লিখেছেন লিটন শিকদার। এর সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন শেখ সাদী খান। মনির খান বলেন, অনেকদিন ধরেই নতুন একটি এ্যালবাম নিয়ে পরিকল্পনা করছি। এরই মধ্যে চারটি গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। গানগুলো হচ্ছে – হৃদয়ের যন্ত্রণা, এ মনের স্মৃতির পাতায়, চুপি চুপি তুমি এত ভালোবেসেছো ও ভালোবেসে নিঃস্ব করেছো।
বাকি ছয়টি গানের রেকর্ডিংও শিগগিরই শেষ করবো। আমি সব সময় গানের কথা গুরুত্ব দিয়ে গান করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। এ্যালবামটি ঈদ উপলক্ষে ইউটিউবে মনির খানের নিজস্ব চ্যানেলে অডিও ভার্সনে প্রকাশ করা হবে। ঈদের পর সবগুলো গানের ভিডিও নির্মাণ করা হবে হবে বলে জানান মনির খান। আমরা হয়তো অঞ্জনার গঞ্জনা নিয়ে আবারও তার গান শুনতে পাবো। সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে শিল্পীর জন্য শুভ কামনা।