– মোশারফ হোসেন মুন্না।
বাংলাদেশ! এটি এমন একটি দেশ, যে দেশের মাটির দিকে তাকালেও মনে রোমান্স জাগে। ভালোবাসতে মনে চায় তার চারপাশের প্রকৃতিকে। এই ভালোবাসা কখনো কখনো মানব সৃষ্ট ভালোবাসায় রুপ নেয়। একজন আরেক জনের ভালো লাগা মন্দ লাগার প্রতি গুরুত্ব দেয়। মনে প্রেম জাগে। ভালোবাসে বিনিময়ে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। এবং সবশেষে সেই সম্পর্ককে আরো গভীর করতে বিবাহ নামক বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু যখন কেউ কারো ভালো লাগা ভালোবাসা বুঝতে চায় না। যখন এক জনের প্রতি আরেক জনের না বলা কথা বুঝতে সমস্যা হয়। যখন কারো প্রতি কারো মমত্ববোধ থাকেনা। ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, তখনি সেই ভালোবাসা বিবাহ বিচ্ছেদে রুপ নেয়। আমরা এখন এমন কিছু তারকার জীবনের বার বার বিচ্ছেদেরর কথা জানবো। বাংলাদেশী নারী কণ্ঠশিল্পী-তারকাদের ব্যক্তি জীবন খুবই রোমাঞ্চকর। বারবারই তারা এসব বিষয়ে মিডিয়ার আলোচনায় এসে থাকেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় অন্য তারকাদের চেয়ে নারী কন্ঠ শিল্পীদের মনেই প্রেমটা একটু বেশি। তা নাহলে প্রায় প্রত্যেকেই কেন দু’তিনটি করে বিয়ে করেছেন!
এই ধরুন এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর কথা। বর্তমানে এ্যালবাম প্রকাশ থেকে দূরে রয়েছেন ডলি। কিন্তু গানের সঙ্গেই আছেন তিনি। নতুন করে প্রত্যাবর্তনের পর কিছু কাজ করেছেন ইতিমধ্য। ব্যক্তিগত ভাবে বিয়ে করেছেন ৩টি। প্রথমে বিশিষ্ট গীতিকার রিজভীকে বিয়ে করেন। সেই ঘরে দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ে ভেঙ্গে যায় তার। এরপরে ডলি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সঙ্গীত শিল্পী রবি চৌধুরীকে। কিন্তু তাদের সংসারও শেষ পর্যন্ত টেকেনি। এরপরে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি।
এবার আসি আরেক জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী রুনা লায়লার কথায়। চিত্র নায়ক আলমগীরের দ্বিতীয় স্ত্রী উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা এ পর্যন্ত তিনবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তার প্রথম বিয়ে হয় খাজা জাভেদ কায়সারের সঙ্গে। দ্বিতীয় বিয়ে করেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক রন ড্যানিয়েলকে এবং সর্বশেষ বিয়ে করেন চিত্রনায়ক আলমগীরকে।
আরেক প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। তিনিও ৩টি বিয়ে করেছেন। প্রথমে বিয়ে করেন আনিসুর রহমান নামের এক ব্যাংকারকে। তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবুকে বিয়ে করেন।
এই সংসারে তার একটি কন্যা সন্তান আছে। কিন্তু তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর সাবিনা বিয়ে করেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কবীর সুমনকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফোক সম্রাজ্ঞী খ্যাত জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মমতাজও এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্বামী ছিলেন বাউল শিল্পী রশিদ বয়াতি। তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মানিকগঞ্জ পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান রমজান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় মমতাজের। কিন্তু সেই বিয়েও সুখী করতে পারেনি মমতাজকে। ২০০৮ সালে রমজান আলীর সঙ্গে মমতাজের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর নিজের প্রতিষ্ঠা করা মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মঈন হাসান চঞ্চলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ডঃ মঈনকেই তিনি বিয়ে করেন।
আজ আলোচনায় ছিলেন জনপ্রিয়তার শির্ষে চার শিল্পীর কথা। অন্য একদিন অন্য কোন শিল্পীদের বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করবো। সে পর্যন্ত সবার সুস্থ সুন্দর জীবন কামনা করি।