– রহমান ফাহমিদা।
“হৃদয় কাদা মাটির কোন মূর্তি নয়
আঘাত দিলে ভেঙ্গে যাবে
মন উড়ন্ত কোন বেলুন নয়
হুল ফোটালে চুপসে যাবে”
প্রায় ত্রিশ বছর আগে যার মাথায় ভর করেছিল, হৃদয় আর মনের এক অদ্ভুত থিম! যা আজও অম্লান হয়ে আছে শ্রোতাদের মাঝে। সেই কালজয়ী গানের যিনি শ্রষ্ঠা এবং গীতিকার শ্রদ্ধেয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী’র গান নিয়ে অতীত ও বর্তমানের যে ভাবনা, হতাশা-আশা এবং এতদিন পর নতুন করে গানের জগতে তাঁর বিচরণ, সবকিছু ফুটে উঠেছে তাঁর সাথে লেখক রহমান ফাহমিদার প্রায় এক ঘণ্টার আলাপচারিতায়। সেই আলাপচারিতার বিশেষ বিশেষ অংশগুলো তুলে ধরা হল –
র.ফা – ভাইয়া,আপনিতো বহুদিন পর আবার নতুন করে অনেকের জন্য গান লিখছেন,সেই গানগুলি সম্বন্ধে যদি বলতেন ?
শ.মা.জ -হ্যাঁ, এর মধ্যে অনেকের জন্য অনেক গান লিখেছি। দেশের বাইরে থাকার কারণে মাঝে মাঝে লিখতাম তবে ওরকম ভাবে একনাগারে লেখা হয়নি। তবে গত বছরের শেষের দিক থেকে শুরু করে এবছরে অনেক গান লিখা হয়েছে। সাধারণতঃ আমি এত বেশী গান লিখিনা, এমনকি আগেও লিখতাম না।
যে গানগুলি লিখেছি তারমধ্যে তপন চৌধুরীর জন্য লিখলাম, পিলু খানের জন্য অল মোস্ট সোলো এ্যালবামের জন্য চারটা আর ডুয়েটের আরও চারটা এর মধ্যে অবশ্য দুটি পুরাতন গান আছে। আর রেঁনেসার জন্য লিখলাম প্রায় আঁটটা। আবার নতুন শিল্পী যেমন-সামস সুমনের জন্য লিখলাম। ব্যান্ড নোভার জন্য মোটামুটি তিনটি গান লিখেছি। গত এক দেড় বছরের অনেক গান লিখা হয়ে গেছে! আমি যেরকম লিখি তারচেয়ে বেশী লিখা হয়ে গেছে।
র.ফা – আপনি তো ফয়সাল সিদ্দীকি বগী ভাইয়ের জন্য সম্প্রতি চিটাগঙ্গের ভাষায় একটি নতুন গান লিখেছেন, সে গানটির ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন ?
শ.মা.জ – বগীর জন্য আগেও দুটো চিটাগঙ্গের গান করেছিলাম এবং সেই গানগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এখন যেই গানটি লিখেছি, সেটা চিটাগঙ্গের ভাষা হলেও সকলে বুঝতে পারবে কারণ এই গানটি সুদ্ধ ভাষার সাথে মিল রেখে করা হয়েছে, যেমন-
ও সই, ওলো সই
তুই ক্যান্ডে, তুই কই।
র.ফা – ভাইয়া জানতে পেরেছি সম্প্রতি আপনি ‘দুরন্ত’ টিভির জন্য একটি টাইটেল সং করেছেন? ঐ ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন ?
শ.মা.জ – হ্যাঁ,আমার একটি গান তাঁরা মানে দুরন্ত টিভির কর্তৃপক্ষ শিশুদের জন্য নিয়েছে, তবে গানটি আমি লিখেছিলাম প্রায় ত্রিশ বছর আগে। গানটি হোল-
আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে
আমরা তার তরে একটি সাজানো বাগান চাই।
আজ যে শিশু মায়ের হাসিতে ভেসেছে
আমরা চিরদিন সেই হাসি দেখতে চাই।
র.ফা – এই গানটি তো অনেক জনপ্রিয় গান।
শ.মা.জ – হ্যাঁ, অনেক জনপ্রিয় একটি গান।গানটিতে শিশুদের ব্যাপার আছে, হয়তো সেজন্য তাঁরা এই গানটি টাইটেল সং এর মত করে চালাবেন। কিছুদিন আগে এই গানটির রেকর্ডিং হয়ে গেল।
র.ফা – আপনি এখন দেশের বাইরে আছেন,আমেরিকায়। তেমনি আপনাদের মত যারা ছিলেন বা আছেন তাঁদের মধ্যে অনেককেই আমরা হারিয়ে ফেলেছি! হারিয়ে ফেলেছি কথাটি এজন্য বলছি কারণ আপনাদের যুগে যেভাবে গান হতো সেভাবে কিন্তু এখন আর গান হয় না! যেমন আপনার জনপ্রিয় এই গানটি – হৃদয় কাঁদা মাটির কোন মূর্তি নয়……। এখনো কিন্তু এই জেনারেশনের মুখে শুনতে পাই। এখন যে গানগুলি হচ্ছে তা কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ আগের পুরাতন গানগুলি অনেকে রিমেক্স করে এ্যালবাম বের করছে। এই বিষয়ে আপনি কি বলবেন ?
শ.মা.জ – আপনার কথায় আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছি, এই যে দুরন্ত টিভি শিশুদের টেলিভিশনের জন্য গান খুঁজতে গিয়ে ত্রিশ বছর আগে আমার লেখা এই গানটি খুঁজে পেল! আর কোন শিশুদের গান পেলনা।
র.ফা-আপনাদের সময় তো শ্রদ্ধেয় কলিম শরাফী, নিলুফার ইয়াসমিন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সুবীর নন্দীসহ আরও অনেক জনপ্রিয় শিল্পী একসাথে এই গানটি করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
শ.মা.জ -এইযে দেখেন তখন একটি ব্যান্ডের গান কলিম শরাফীর মত শিল্পী গেয়েছেন এবং গানটি গাইতে অসস্থিবোধ করেনি! এটা বড় পাওনা ছিল আমাদের জন্য। কারণ ব্যান্ডের বাইরে যারা ছিলেন তাঁরা তো প্রথমে ব্যান্ড সঙ্গীতটাকে ভালো চোখে দেখেননি! কলিম শরাফী এবং নিলুফার ইয়াসমিন যখন এই গানটি গাইল তখন ফাটাফাটি হয়েছিল। তাঁরা এই গানটি গাওয়াতে এক্সেপ্টেন্স লেবেল্টা বেড়ে গিয়েছিল। তখন আর ব্যান্ড সঙ্গীতকে কেউ বিরোধিতা করেনি।
আর আপনি যে বলছেন, এখন তেমন ভালো গান হচ্ছেনা কেন ? আসলে সব খারাপ গান হয় তা নয়, ভালো গানও হয়। কিন্তু কোথায় যেন একটা ফাঁক রয়ে গেছে! যেটা আমি নিজেও বুঝতে পারিনা। আমাদের সময় আমরা যখন বিয়ে বাড়িতে যেতাম তখন আমাদের দেশের গানগুলি বিয়ে বাড়িতে হলুদে বাজত কিন্তু এখন দেখুন হলুদে দেশের বাইরের গান বাজাচ্ছে হিন্দি,ইংলিশ ইত্যাদি। আগে নিউমার্কেট এবং বিপনি বিতানগুলোতেও আমাদের দেশের গান বাজানো হোতো কিন্তু এখন তেমন কোন গান শুনতে পাবেন না।
র.ফা – ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আমরা নিজেদের দেশের গান বর্জন করে অন্য দেশের গান গ্রহণ করছি। আপনারা ফিরে আসেন আবার আগের মত।
শ.মা.জ – আমরা তো আছিই সেই সাথে নতুনদেরও আসতে হবে। আমি আশাবাদী এক সময় এই খারাপ সময়টা হয়তো কেটে যাবে। নতুনরা আসছে যদিও তারা শর্টকাট রাস্তায় তাড়াতাড়ি খ্যাতি অর্জন করতে চায়। এরকম না করে যদি একটু চিন্তাভাবনা করে একটু কষ্ট করে গান বাজনা করে তাহলে তাদের সাফল্য এমনেতেই ধরা দিবে। আমিই এর মধ্যে আরটিভিতে একটি আলোচনায় বলেছিলাম,আইউব বাচ্চুর ‘একদিন ঘুম শহরে’ গানটিতে
কত পরিশ্রম দিতে হয়েছিল একটি গান তৈরিতে। চট্রগ্রাম থেকে মাইক্রোবাস করে সারারাত আমরা চারজন মিলে ঢাকায় এসে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ভিটিআর করেছি। তার আগে সকালে দাউদকান্দি এসে গানটির একটি অন্তরা লিখলাম, আরেকটি অন্তরা লিখলাম হোটেলে গিয়ে রাত একটার দিকে। তারপর সারারাত ওরা গানটি কম্পোজ করল। পরেরদিন গিয়ে ভিটিআর করল। তো পরিশ্রম তো করতেই হবে, পরিশ্রম না করলে কিভাবে হবে! এখনতো ধরেন,যখন ইচ্ছা গান লিখল। যখন ইচ্ছা গান গাইল। কেউ কেউ হয়তো পরিশ্রম করে কিন্তু অনেক গানের ভীরে হয়তো ভালো গানগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ইউটিউব ভর্তি গান। তাই শ্রোতারা ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। কলকাতায় কিন্তু এখনো প্রত্যেক বছর বাংলা গান হিট হচ্ছে। এখন তো আর সিডি বা ক্যাসেট নাই! তারপরেও প্রত্যেক বছর দুতিনটা গান হিট হচ্ছে তা আমরা দেখতে পাই কিন্তু আমাদের দেশে তা পাইনা। এটা হচ্ছে একটা খায়েশ! আশা করি একসময় এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।
র.ফা-ভাইয়া, আপনার গানগুলি নিয়ে, আপনার কি কোন পরিকল্পনা আছে?
শ.মা.জ- আমার গানগুলি নিয়ে আপাতত আমি কিছু করছিনা। আমি তো একটি কথা বলি সব সময়, তা হোল – যে গান লিখে, যে সুর দেয় আর যিনি গান করেন, তার পাঁচ ছয়টা গান বা দুই তিনটা গান যদি ত্রিশ চল্লিশ বছর টিকে থাকে তাহলে ওটা নিয়ে তাঁর সুখে থাকা উচিৎ। আমি অনেককে জিগ্যেস করি, এখন যদি আপনাকে জিগ্যেস করি,আপনি হয়তো জানতে পারেন। কিন্তু অনেকেই পারেন না। যদি বলি পঁচিশটি রবীন্দ্র সঙ্গীত বলতে পারেন
কি? তখন দেখা যায় দশটির বেশি পারেন না। আমি লাকি ভাইয়ের গানের কথা জানতে চাই, লাকি আখন্দের পাঁচটি গানের কথা বলুন,অনেক কম লোকে জানে লাকি আখন্দের গান। আর যদি গীতিকার কাওসার আহমেদের চারটা গানের কথা বলি তাহলে দেখা যায় কেউই পারেনা, তিনটা পারে, এইযে তিন চারটা পারে, এটা তো একজন সুরকার, গীতিকার বা গায়ক গায়িকার জন্য বিশাল ব্যাপার। বরং লাকী সেভেন্টি সিক্সস বা সেভেন্টি এইটে
গান করেছে তার চার পাঁচটা এখনো আছে, এটা কি একটা বিশাল ব্যাপার নয়? এখন তো ইউটইউবের কারণে অটো আর্কাইভ হয়ে গেছে, অনেকগুলো আসছে আবার অনেকগুলো নাইও হয়ে গেছে। আমরা যে গানগুলি পেয়েছি, সোলসের কথাই ধরেন, সোলসে তো আমি প্রথম থেকেই লিখছি। সোলসের যে কয়টা গান মানুষের ভালো লেগেছে সেই কয়টা গান কিন্তু এখন পর্যন্ত আছে। ঐ সময় হয়তো সবগুলো গানই লোকে শুনেছে। আবার বিশ্বজিতের কথা বলি ওর প্রথম এ্যালবাম, দ্বিতীয় এ্যালবাম ও তৃতীয় এ্যালবামের সব গানই সবাই শুনত কিন্তু এখন তো আর সবাই শুনেনা। দেখেন যে ঐ জায়গায় চার পাঁচটা বা দশ বারটা গান শুনছে। এমন হয়ে যায়। আপনি তো জোর করে মানুষকে সব গুলো গান শোনাতে পারবেন না। যেই চার পাঁচটা গান ত্রিশ চল্লিশ বছর ধরে শুনছে, সেটাতো বিশাল ব্যাপার।
র.ফ – হুম!ঠিক বলেছেন। ভাইয়া, আমাদের দেশের একজন রকস্টার না ফেরার দেশে চলে গেলেন! তিনি টিভির একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে ,বড়রা সবাই নতুনদের জন্য কিছু করেন। তখন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বলেছিলেন, আপনি ওত বড়, আপনি কিছু করুন। তখন সে বলেছিল, আপনি আমাকে যে বড় বলছেন মানে সঙ্গিত অঙ্গনে! সেই বড়র কথা বলছিনা। যারা ধনী বা বড়লোক, যাদের মানুষের জন্য মানে নতুন শিল্পীদের জন্য যেমন মফস্বল থেকে জমিজমা বিক্রি করে শুধু গানের জন্য যারা আসে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য বলছি। এই রকস্টার হয়তো অনেককেই গানের ব্যাপারে বা গীটার শেখানোর ব্যাপারে উদ্ভুত করতেন।
শ.মা.জ – হ্যাঁ, তিনি তা করতেন। বাচ্চু সব সময় তা করত। চ্যানেল আইতে যে ব্যান্ড সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হতো নতুনদের নিয়ে ওটাও বাচ্চু করত।
র.ফ – আপনি কি এরকম কোন পরিকল্পনা করেছেন নতুনদের নিয়ে?
শ.মা.জ – আমাদের সময় আমরা আমাদের সেকেন্ড জেনারেশন যারা চিটাগাঙ্গে ছিল তারা আমাদের কাছে আসতো তাদেরকে আমরা নানাভাবে সাহায্য করতাম। সুরকার বলেন গীতিকার বলেন, কেউ যা জানতে চায় বা পরামর্শ নিতে চায় তা আমরা দিতাম। কিন্তু সংগঠিত ভাবে যা বলছেন আপনি সেভাবে কিছু করা হয়নি। তবে এখন আপনাকে আরেকটি সংবাদ দিতে পারি। যদিও এটা পারসুয়েল একটা ব্যাপার! চিটাগাং মিউজিসিয়ান ক্লাব ঢাকা হয়েছিল। এই ক্লাবের ব্যক্তিবর্গ গতবার চিটাগাং গিয়েছিল ,চিটাগাং এর ৩১টি ব্যান্ডের সাথে ওরা বসেছিল। নতুন পুরাতন মিলিয়ে ৩১টি ব্যান্ড যারা গান করে ওদের সাথে কথাবার্তা বলে, যেহেতু এক্সপোজার পায়না তাই ওদেরকে সেটা দেয়ার জন্য ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওদের ১০টা এ্যালবাম সিএমসিডি ওরাই বের করবে এবং ঢাকা থেকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা তাদেরকে করবে। এই ধরণের উদ্যোগ আমরা ওদের সিএমডিসি থেকে পরামর্শ দিয়ে ওদের সাথে আছি। ওরা এই কাজটি করছে ক্ষুদ্র পরিসরে হয়তো পুরো দেশে পারছেনা। পুরো দেশটিতে একসাথে করা সম্ভব না তাই একটি ক্ষেত্র বিশেষে এই কাজটি সিএমডিসি করছে। যারা ইয়াং গ্রুপ চিটাগাঙে আছে তারা এই কাজটি করছে। আমাদের উপদেষ্টা হিসাবে রেখেছে। আমাদের এই বয়সে আমরা পরামর্শ দিয়ে যেটা ভাল মনে করি বা যতটুকু ভাল হবে সেটাই বলি। হয়তো ওরা আরও সাহায্য চাইলে সাহায্য করব। তবে এই জিনিসটা যদি বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে হয়ত একদিন কিছু একটা হবে। আমার ধারনা সিএমডিসি যদি এই কাজটি সাফল্যের সাথে করতে পারে তাহলে অন্যান্য জেলায়ও আস্তে আস্তে কাজ করা যাবে।
র.ফা. – এবার কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি। আপনি এই গানের জগতে কিভাবে এলেন ? আপনার পরিবারের কেউ কি ছিলেন এই জগতে ?
শ.মা.জ – আমার পরিবারে সবাই গানের খুব ভক্ত ছিল। আমাদের বাসার সামনে একটি বিরাট মাঠ ছিল প্রত্যেক রবিবার (তখন রবিবার ছুটির দিন ছিল )সেই মাঠে আমার বাবা একটি টেবিল আর দুইটি চেয়ার নিয়ে বসতেন। টেবিলে তার পানের বাটা থাকত, তিনি পান খেতেন আর আব্বাস ফকির নামে একজন আসতেন একতারা নিয়ে এবং ঘন্টা দেড়েক গান করে যেতেন। দেখা যেত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিল্পী আসতেন গান করতে। আমার বাবা গান খুব ভালোবাসতেন। ওখান থেকেই হয়তো পেয়েছি কিছুটা। আমার আশেপাশে অনেকেই লেখালখি করতেন। আমার ফুফাতো ভাই ছিলেন মাহবুবুল আলম চৌধুরী। উনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম কবিতা লিখেছিলেন, “কাঁদতে আসিনি। ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি”। সেখান থেকেই হয়তো লেখালেখিটা এসেছে। আমাদের আত্মীয়স্বজনরা মোটামুটি একই পাড়ায় থাকতাম।
র.ফা -আপনার বিয়েটা কি পারিবারিকভাবে হয়েছে না লাভ ম্যারেজ ? আপনার পরিবারের কথা বলুন।
শ.মা.জ – না, আমাদের পরিচিতি ছিল। আমরা দুজন চিটাগাং ভার্সিটিতে পড়তাম। আমার স্ত্রীর নাম বিভা। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলের নাম আলাভি এবং মেয়ের নাম নাজিফা। দুজনেরি লেখাপড়া মোটামুটি শেষ।
র.ফা – আপনি কি দেশের বাইরেই থাকবেন ?এখন তো দেশে আছেন, আবার কবে যাবেন ?
শ.মা.জ – আমি আমেরিকায় ছিলাম। প্রত্যেক বছরেই দেশে আসি। দেশে চার পাঁচ মাস থাকি। এবার মার্চের ১১ তারিখে যাব,ওখানে গিয়ে তিনমাসের মাথায় আবার চলে আসব। তারপর হয়ত সাত মাস পর যাব। এখন হয়তো দেশেই বেশী থাকা হবে কারণ ছেলেমেয়ের পড়ালেখা শেষ এখন ওরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে এখন বেশি ওখানে না থাকলেও হবে। এরপর যদি আল্লাহ তা’য়ালা বাঁচায়, তাহলে ওখানে যাওয়ার পরিমান কমে যাবে।
র.ফা – আমরা চাই আপনি আমাদের মাঝে চলে আসবেন এবং সুন্দর সুন্দর গান উপহার দিবেন ইনশাআল্লাহ! ভালো থাকবেন। সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
শ.মা.জ – ইনশাআল্লাহ্! আপনিও ভালো থাকবেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।