– মরিয়ম ইয়াসমিন মৌমিতা।
রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শেষ হলো দেশের শীর্ষস্থানীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের ৪০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান। তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে গত বৃহস্পতিবার মঞ্চ মাতিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা।
শনিবার শেষ দিন গাইলেন নগরবাউল খ্যাত জেমস।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম মাঠে ৪০টি পায়রা উড়িয়ে ‘আড়ং ফোরটি ইয়ার্স ফেস্টিভ্যাল’-এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী বক্তব্যে মন্ত্রী আড়ংয়ের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, নকশী কাঁথা, জামদানিসহ যে শিল্পের কথা আমরা বলি এসব নির্মাণকারীরাই আসল শিল্পী। আড়ং তা যথাযথভাবে করে আসছে। আজকে আড়ংয়ের ৪০ বছর উদযাপন হচ্ছে, এটা সহজ কিছু নয়। আমি মনে করি আড়ং তাদের সৃষ্টিশীল কাজের জন্যই একদিন ৪০০ বছর পূর্তি করবে!
আড়ংয়ের চল্লিশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের তিন দিনই দর্শকের জন্য ছিল হস্তশিল্প প্রদর্শনীর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কর্মশালা। যেখানে দর্শনার্থীরা সরাসরি কারু ও হস্তশিল্পীদের কাজের সাথে পরিচিত হতে পেরেছেন। এছাড়াও ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, ফ্যাশন শো।
তবে অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ কনসার্ট। প্রথম দিনে আর্মি স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন রুনা লায়লা। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ছিল ফ্যাশন শো।
তবে দর্শকের জন্য সবচেয়ে আগ্রহের দিন উৎসবের তৃতীয় তথা শেষ দিন সন্ধ্যা। কারণ এদিন আড়ংয়ের মঞ্চে গান গেয়ে দর্শক মাতিয়েছেন দেশের নামকরা কিছু ব্যান্ড। এর মধ্যে ছিল জলের গান, নেমেসিস এবং মিনার।
তবে সবার আগ্রহ নগর বাউল জেমস কেন্দ্রিক। তার গানের মহনায় আনন্দের জোয়াড়ে ভেসে গিয়েছিলো স্টেডিয়াম। গানের তালে প্রাণ নেচেছে সবার। জেমস পরিবেশন করেন তাঁর সৃষ্ঠ সব জনপ্রিয় গান যেমন – বিজলি, মীরাবাঈ, মা, গুরু, দুঃখিনী, দুষ্ট ছেলের দল, লেইসফিতা, তারায় তারায় ইত্যাদি। এই ভাবে সামনে বছর গুলোতেও এই অনুষ্ঠান হবে সেই আশা রাখি। সবার সুন্দর সুস্থ জীবন কামনায় সঙ্গীতাঙ্গন।