১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো এলআরবি শো করতে যায়। শো শেষে ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের নিয়ে আইয়ুব বাচ্চু যান নিউইয়র্কের গিটার সেন্টারে। আইয়ুব বাচ্চু সেখানে সামনে থাকা গিটারগুলো নেড়ে চেড়ে দেখছেন। হঠাৎ আইভানেজ গিটারের ওপর চোখ পড়ে তাঁর। কাচের বাক্সে বন্দী। দোকানের ব্যবস্থাপককে এই গিটারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই লোকটি আইয়ুব বাচ্চুর দিকে ভালো করে তাকান। জানতে চান, কোন দেশ থেকে এসেছে ? এরপর বললেন, এই গিটার তোমার মতো বাংলাদেশীর জন্য নয়। এটা এখানে সবচেয়ে দামি গিটার, তুমি বরং অন্যটা দেখ। লোকটির কথায় আইয়ুব বাচ্চু কষ্ট পান। বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন দেশটাকে অপমান করা হয়েছে, তাই ভেবে।
আইয়ুব বাচ্চুর মনে জেদ চেপে বসে। তিনি সেই ব্যবস্থাপককে অনুরোধ করেন, গিটারটি একবার দেখার সুযোগ দাও। আমার আর টিমের সবার কাছে যত ডলার আছে, আশা করি এটা নিতে পারব। লোকটি অনিচ্ছাসত্ত্বেও গিটারটা দেখতে দেন আইয়ুব বাচ্চুকে। গিটার হাতে পেয়ে আইয়ুব বাচ্চু গিটার বাঁজানো শুরু করেন। এমনভাবে বাঁজালেন, আশপাশে লোকজন এসে জড়ো হয়ে যায়। আইয়ুব বাচ্চুর বাঁজানো দেখে সবাই অবাক। এরপর গিটার
ফেরত দিতে গেলে লোকটি আইয়ুব বাচ্চুকে বললেন, তুমি অসাধারণ বাঁজাও, এই গিটার তোমার জন্যই। এটা আমি তোমাকে অর্ধেক দামে দেব। আইয়ুব বাচ্চু বিনয়ের সঙ্গে বললেন, এটা তুমি আমাকে বিনা পয়সায় দিলেও আমি নেব না, তুমি আমার দেশকে অপমান করেছো। ‘যে গিটারের জন্য দেশ অপমানিত হয়, সেই গিটার আইয়ুব বাচ্চু দ্বিতীয় বার বাঁজায় না।’ – সংগৃহীত