– রুপা মল্লিক।
একদিন তো সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে হবে এই মধুর পৃথিবী ছেড়ে তবুও মন পড়ে থাকে এই মায়াময় দুনিয়াতে। চলে যায় অবেলায় কত প্রিয়জন প্রিয়মানুষ, প্রিয়মূখ। যা মেনে নিতে পারে না কেউই তবুও মেনে নিতে হয় জন্ম মৃত্যু তো ওই বিধাতার হাতে।
তেমন করেই ওপারে চলে গিয়েছেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে দেশ বরেণ্যে সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলী আকবর রুপু। রেখে গেছেন সবার জন্য একবুক হাহাকার ও শতশত স্মৃতির পাহাড়।
আলী আকবর রুপুর শুরুটা হয়েছিলো গিটার ও কিবোর্ড বাদক হিসেবে ১৯৮০ সালে ‘একটি দূর্ঘটনা’ এ্যালবাম দিয়ে অডিও গানে তাঁর অভিষেক। শুরুর এ্যালবামেই তাঁর সুর ও সংগীতের বাজিমাত, এ্যালবামের গানগুলো বেশ প্রসংশিত হয়। ১৯৮৪ সালে মালেক আফসারী পরিচালিত, ‘রাস্তার ছেলে’ ছবিতে গান করেছেন বিখ্যাত এ সুরকার। এছাড়াও ৬টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি।
সবার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে আলী আকবর রুপু প্রায় ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন গানের সুর ও কম্পোজ করেছেন। তিনি ১৯৮২ সালের দিকে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডে কিছুদিন গিটার ও কিবোর্ড বাজিয়েছিলেন পরবর্তী সময়ে উচ্চারন ছেড়ে দেন। তারপর ‘উইন্ডস’ নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন। অবশ্য তাঁর পরিচয় মূলত গীতিকার ও সুরকার হিসেবে দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের প্রায় সবাই তারঁ সুর করা গানে কন্ঠ দিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য হলো – কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া – যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে, এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া – পদ্মপাতার পানি নয়, সাবিনা ইয়াসমিনের – প্রতিটির শিশুর মূখ ইত্যাদি।
সবার এই প্রিয় মানুষের সর্বশেষ কাজ নিয়ে প্রকাশিত হলো নতুন এ্যালবাম ‘একমুঠো রোদ্দুর’ জনপ্রিয় প্রতিভাবান কন্ঠশিল্পী রুনা সামাদের কন্ঠে ভাসবে। এই এ্যালবামের কাজগুলোই আলী আকবর রুপুর শেষ ছন্দ ও সুরের শেষ স্বাক্ষর। গানের ডালি থেকে প্রকাশিত এই গান গুলোর কথা সাজিয়েছেন আলী আকবর রুপুর অনেক কাছের প্রিয়জন লিটন অধিকারী রিন্টু, বাকিউল আলম ও আবু ইসহাক।
লিটন অধিকারী রিন্টু বলেন, রুপু ভাই চলে গিয়েছেন রেখে গেলেন শুধুই মায়ার বোঝা যেটা বইতে পারা অনেক কস্টের। তবুও প্রতিক্ষনে মেনে নিতে হয়। অনেক যত্নে এ্যালবামের কাজ গুলো শেষ হয়েছে। রুনা সামাদের কাছে অনেক প্রত্যাশা তিনিও গেয়েছেন অসাধারন। আশা করি ভালো কিছু পাবে শ্রোতারা।
সঙ্গীতাঙ্গন এর আলাপন শেষে কোথায় যেনো থেমে গিয়েছিলাম, জানি সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে তবুও কেউ না যেনো সুসময়ে চলে না যায়। তবে আলী আকবর বেঁচে আছেন আমাদের সবার অন্তরে। গুনীজনেরা যে আমরণ। সর্বকূলের সবপ্রিয়জন সব ভালো থাকুক এই বাংলার গানে ও প্রানে। শুভো হোক সবার জীবন চেতনা।