– মোশারফ হোসেন মুন্না।
যে ভাবেই বাচিঁ বেচেঁ তো আছি
জীবন আর মরণের কাছাকাছি।
তুমি আজ দুলছো সুখের দোলায়
আমি না হয় মরছি দুঃখের জালায়।
হু- -হুহু — হু——– হু হু —–
হারিয়ে যায় দিন, রয়ে যায় স্মৃতি। চলে যায় মানুষ, রয়ে যায় মানুষকে দেওয়া প্রেম ও প্রিতী। মানুষ চলে গেলেও তার কর্ম তাকে বাঁচিয়ে রাখে। প্রকৃত মানুষ তো সে, যে তার ভালো কর্মের মধ্যে দিয়ে বেচেঁ আছেন সবার মাঝে। শ্রদ্ধা ও ভক্তি পাওয়ার যোগ্যাতা তো তারই আছে যাকে নিয়ে গর্ব করা চলে। আমরা তো গর্ব করি তাদের নিয়ে যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই সুন্দর সোনার বাংলাদেশ। লাখ বাংঙ্গালীর তাজা রক্তের নদীতে ভেসে ভেসে এসেছে এই স্বাধীনতা। তাদের মধ্যে থেকে একজন হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মন মাতানো কন্ঠের সঙ্গীত শিল্পী লীনু বিল্লাহ। যিনি যুদ্ধ করছেন সোনার বাংলাকে মুক্তির দৃঢ় প্রত্যয়ে। যুদ্ধে যেমনি জয় লাভ করেছেন তেমনি যুদ্ধ শেষে জীবনকে জয় করে প্রাণ নিয়ে ফিরে এসেছেন। উপরওয়ালা ফিরিয়ে এনেছেন সোনার বাংলার বিজয়ী বাংঙ্গালীকে সুরের সূতোয় বেঁধে দিতে। সঙ্গীতাঙ্গন আয়োজিত লীনু বিল্লাহর একক সঙ্গীত সন্ধ্যায় আমি তার কন্ঠের শ্রুতিমধুর গান শুনে রীতিমত অবাগ। কি সুন্দর যাদুকরি কন্ঠ। গানের সাথে সাথে তার প্রেমে পড়ে গেছি। একজন যোদ্ধা হিসেবেই নয় একজন জাত শিল্পী হিসেবেও বাংলার মানুষ ভুলতে পারবে না এই মহান মুক্তিযুদ্ধা ও শিল্পীকে। দুই কর্মের জন্যই তাকে মনে রাখবে সবাই।
মহান এই শিল্পী সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত টিভি প্রোগ্রাম ও স্টেজ শো’তে ব্যাস্ত আছেন। একের পর এক গানের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এবার দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে গান করার প্রস্তাব আসে। বাকিউল আলমের কথায় পাকিস্তানের সালমান আশ্রাফের সুরে একটি গানে কন্ঠ দেন তিনি। ‘রোদ ঝড়ানো বিকেল’ শিরোনামের এই গানটি সম্পর্কে বাকিউল আলম বলেন, আমাকে লিনু ভাই ফোন করে বলেন যে আমার জন্য একটা গান লিখেন। যার সুর করবে পাকিস্তানেরর সালমান আশ্রাফ। আমি তখন শুয়ে ছিলাম। শুয়ে শুয়েই গুন গুন করে এই গানটা লিখে ফেলি। আর দেখি যে সুন্দর কথায়ই তো গানটিতে স্থান পেয়েছে। তো আমি গানটি দিয়ে দিলাম মেইল করে গানটি লীনু বিল্লাহ ও সালমানের খুব পছন্দ হয়েছে। তাই সালমান আর দেরি না করে গানটির সুর করে ফেললো। আশা করি গানটি সবার ভালো লাগবে। সঙ্গীতাঙ্গন এরও এই প্রত্যাশা গানটি সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাক। গানটি নিয়ে শিল্পী লীনু বিল্লাহ বলেন, সুরের কোন সিমান্ত নেই। সুরের ধারা নদীর স্রোতের মত অনবরত চলতে থাকে। সুর মানুষকে নিয়ে যায় সুখ- দুঃখের অজানা রাজ্যে। সব ধরণের গানই আমার গাইতে ভালো লাগে। সব ধরণের গানই করি। এবার পাকিস্তানের এক সুরকার সালমান আশ্রাফ আমার গান শুনে ওর খুব ভালো লেগেছে তাই তার সুরে আমাকে দিয়ে একটা গান করার প্রস্তাব করেন। আর এভাবেই গানটি করা। গানটি বাকিউল খুব সুন্দর করে লিখেছে। এবং খুব সুন্দর সুর করা হয়েছে। আমি যথেষ্ট চেষ্ঠা করেছি গানটি সুন্দর করে গাওয়ার। আশা করি গানটি সবার ভালো লাগবে। ভালো কন্ঠে ভালো গান সবার ভালো লাগবে। আমরাও বিশ্বাস করি গানটি খুব ভালো হবে। তবে সংস্কৃতি অঙ্গনের আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলেন লীনু বিল্লাহ। গানের সুরে দেশে ও জনপ্রিয়তা অজর্ন করেছেন এবার বিদেশেও তার নতুন পদার্পন। তার জন্য শুভ কামনা।