– মরিয়ম ইয়াসমিন মৌমিতা।
আগুনের সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ১৯৮৮ সালে ‘সাডেন’ ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে। সাডেন ব্যান্ড ও আগুনের একক এ্যালবাম ওগো প্রেয়োসীর গানগুলোর মধ্যে – বৈশাখী মেলা, উত্তাল সমুদ্র ও ভালোবাসি’ শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ
করে। তিনি ১৯৯২ সালে সাডেন ব্যান্ড ত্যাগ করেন। ১৯৯২ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়মত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের গান গাওয়ার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রের গানে অভিষেক হয়। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটিতে তার গাওয়া গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন আলম খান। পরে তিনি সত্য সাহা, আনোয়ার পারভেজ, আলাউদ্দিন আলী, আলী হোসেন আবু তাহের আহাম্মেদ ইমতিয়াজ বুলবুলদের মত প্রথিতযশা সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকদের সুরকৃত গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৯৭ সালে তিনি এখনো অনেক রাত চলচ্চিত্রে ‘ও আমার জন্মভূমি’ গানের জন্য বাচসাস পুরষ্কার লাভ করেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে তিনি জীবনের অদ্ভুত প্রেম চলচ্চিত্রের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন।
চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি ১৫টি এ্যালবামেও কণ্ঠ দিয়েছেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত এ্যালবামের গানে কণ্ঠ দিলেও পরে তিনি তা কমিয়ে দেন। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় তার ১৩তম গানের এ্যালবাম কি
যে কান্না পেয়েছিল। দুই বছর বিরতির পর ২০১৩ সালে তিনি প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত-এর এ্যালবাম ‘এই কথাটি মনে রেখ’ প্রকাশ করেন। এই এ্যালবামের সঙ্গীত আয়োজন করেন পার্থ মজুমদার। পরে দীর্ঘ তিনি বছর বিরতির পর
২০১৬ সালে প্রকাশ করেন তার ১৫তম এ্যালবাম কাচেঁর দেয়াল। সঙ্গীতা থেকে প্রকাশিত গানগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন রেজওয়ান শেখ। এবার সেই জনপ্রিয় শিল্পী আগুন দেশের বাইরে গান করতে যচ্ছেন। জনপ্রিয় দুই শিল্পী আগুন ও ন্যানসি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। সেখানে তিনটি শো’তে অংশগ্রহণ করবেন এই দুই তারকা।
এনটিভির আয়োজনে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে’ একটি অনুষ্ঠানে গাইবেন তারা। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজনে দু’টি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবেন আগুন ও ন্যানসি। ন্যানসি বলেন, আগামী ২৩ তারিখে আমরা যাব। সিডনি, ক্যানভেরা ও গোলকোস্টে তিনটি শো করবো। আমি এর আগে ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় শো করেছি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো যাচ্ছি। ওই সময় আমি একা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবার আগুন ভাই যাচ্ছে।
আশা করি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালিদেরকে ভালোভাবে গান শোনাতে পারবো।