– মোশারফ হোসেন মুন্না।
সেদিনের সূর্যটা আলো নিয়ে নয়
ওঠে ছিল যেনো শুধু রক্ত মেখে
অবাক চোখ মেলে বিশ্ববাসি
বিভৎস কোন এক দৃশ্য দেখে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাঙালি জাতির পিতা। শোকাবহ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর নাম শুনলেই বুকের মধ্যেখানটা ফাঁকা হয়ে ওঠে। দুঃখ আর হারানোর বেদনায় কাঁদে বাঙালি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী এ মহান নেতাকে নিয়ে হয়েছে অনেক গান। এবার শোকের মাসে তাঁকে নিয়ে ভিন্নধারার আবেগপ্রবণ আরেকটি গান গান তৈরি হয়েছে। পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ এর কথায় সাজেদ ফাতেমির অসাধারণ সুরে গানটি গেয়েছেন ফিডব্যাক এর জনপ্রিয় ভোকালিষ্ট লুমিন। পাকিস্তানিদের রক্ত চক্ষু কখনোই টলাতে পারেনি বঙ্গবন্ধুকে। বিশাল বুকে আগলে রেখেছিলেন বাঙালিকে। সংগ্রামী জীবনে কারাগারই ছিলো বঙ্গবন্ধুর ঠিকানা। চলার পথটা সহজ ছিলো না বঙ্গবন্ধু পরিবারের। ছিল হাজারটা বাঁধা। সেই দুঃসময়ের স্মৃতিকাতরতা, রক্তঝরা আগস্টের দিনগুলো এখনো হায়েনার মত তাড়া করে বাঙালিকে। সেই দুঃখ গাঁথা, আবেগি স্মৃতি, সুর হয়ে ফুটে উঠেছে লুমিন এর কন্ঠে। লুমিন গানটির অনুভূতি প্রকাশ করে সঙ্গীতাঙ্গনকে বলেন, আমি দেখিনি বঙ্গবন্ধুকে। আমি দেখিনি মুক্তি যুদ্ধ তবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করি। যখন গানটি গাইতে যাই অজানা ভাবে চোখ থেকে অশ্রু ঝড়ে পড়ছিল।
মনে হচ্ছিল বঙ্গবন্ধু আমার পাশেই আছেন। আর আমি তার সামনে ঐদিনের ভয়াবহতা নিয়ে গাইছি। যেদিন বঙ্গবন্ধকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয় সেদিন মনে হয় পূর্বাকাশে সূর্যটা আলো নিয়ে আসেনি, এসেছিলো রক্ত মেখে।
সেই বিভৎস এক দৃশ্য দেখে পৃথিবীর মানুষ অবাক হয়ে তা দেখছিলো। যেনো সারা বাংলা আজ এতিম হয়ে গেছে। হারিয়েছে শ্রেষ্ট সম্পদ। সেই অনুভূতি আমার কাজ করছিল মনের মধ্যে। আমাদের আর্দশ এক মহান নেতাকে নিয়ে গানটি গাইতে পেরে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে। আশা করি গানটি সবার হৃদয়ে দোলা দেবে। লুমিন ২০০৩ সালে ফিডব্যাক এ যুক্ত হন ভোকালিষ্ট হিসেবে। এপর্যন্ত অনেক গানেই তিনি কন্ঠ দিয়েছেন। এবারের গানটি ছিল তার ব্যাতিক্রম। তিনি পেশায় একজন ব্যাংকার। গানকে ভালোবাসে বলেই গান করা। আর সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখালো বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার মাধ্যেমে। তার জন্য শুভ কামনা। সমৃদ্ধ জীবন কামনায়।