সুরের ভুবন যাদের স্পর্শে আলোকিত, যাদের ছোঁয়ায় সুর হয় শ্রুতিমধুর তাদেরই মমতার বন্ধনে এক স্বপ্নিল সঙ্গীত প্রেমী সঙ্গীতশিল্পী মোহাম্মদ সুমন। গানের সাথেই তার পথচলা। সেই কৈশোর বয়স থেকেই গিটারের শব্দে, ছন্দে মুখরিত তার সারাবেলা। সঙ্গীতকে ভালবেসেই চলতে চলতে গড়ে তোলেছেন তার আপন গানের ভুবন। দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড পেন্টাগন এর প্রধান ভোকাল সুমন। আজ তার শুভ জন্মদিন।
জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর সাথে আলাপন তুলে দেয়া হলো –
সঙ্গীতাঙ্গন : আস- সালামুআলাইকুম ভাইয়া। কেমন আছেন ?
সুমন : ওয়ালাইকুমুস সালাম। হ্যাঁ ভালো আছি।
সঙ্গীতাঙ্গন : ভাইয়া আজ আপনার জন্মদিন, সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শুভ জন্মদিন।
সুমন : ধন্যবাদ সঙ্গীতাঙ্গনকে। আমাকে মনে রাখার জন্য।
সঙ্গীতাঙ্গন: ভাইয়া বলা যাবে কি এটা আপনার কততম জন্মবার্ষিকী ?
সুমনঃ অব্যশই, এটা আমার ৪৭তম জন্মদিন।
সঙ্গীতাঙ্গন : ভাইয়া, এ উপলক্ষ্যে কোন পরিকল্পনা আছে বা কোনো সারপ্রাইজ আছে ?
সুমন : না ভাইয়া, আমাদের কী আর সে বয়স আছে ? একটা সময় ছিল, যখন ছোট বেলা অনেক মজা হতো। জন্মদিনের আয়োজন করতাম বাবা মা করতো। কিন্তু এখন তো ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গেছে তো এখন আর জন্মদিনের কোন উৎসব হয়না। তবে বাসায় মেহমান আসে, বন্ধু বান্ধব আসে তাদের সাথেই আড্ডা দেই আর কি। তাদের সাথে সময় কাটাই। এখন আর এসবের কাছে যাইনা। এখনতো ছেলেমেয়েদের পালা আমরা সেখানে আর কি করবো।
সঙ্গীতাঙ্গন : ভাইয়া আপনার সঙ্গীত জগৎ এ প্রবেশ কখন থেকে?
সুমন : সেটা বলতে ভাই, মায়ের পেট থেকেই। ছোট বেলা থেকেই আমি সঙ্গীত চর্চা করি। আমার বাবা মা সবাই সঙ্গীত জগৎ এর মানুষ সুতরাং আর কি বলবো। সঙ্গীত নিয়েই আমি বড় হয়েছি। ছোটকাল থেকেই সঙ্গীত ভালোবাসতাম। এখনো বাসি। সঙ্গীতকে জড়িয়ে আছে আমার সবটুকু জায়গা। মূলতঃ ১৯৮৬ থেকে মিউজিক শুরু করেছি। তখন থেকেই আমার মিউজিকের যাত্রা শুরু, পথ চলা শুরু করি।
সঙ্গীতাঙ্গন : ঈদের জন্য কোন উপহার কী দর্শকদের জন্য ছিল ? অর্থাৎ ঈদে কোন নতুন মিউজিক রিলিজ করেছিলেন?
সুমন : নাহ্ ঈদে কোন কাজ করিনি, তো বিভিন্ন চ্যানেলে কথা বার্তা হচ্ছিল তো বিভিন্ন জটিলতায় তা আর হয়ে উঠেনি।
সঙ্গীতাঙ্গন : আজ আপনার জন্মদিনের শুভক্ষণে জানতে চাই, আগামী সঙ্গীত জগৎ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী ?
সুমনঃ আমি শুধু জাস্ট একটা কথাই বলবো আর সেটা হলো সবাই বাংলা গান শুনবে। সবাইকে বাংলা গান শুনতে বাধ্য করবো। বিদেশী হিন্দি গান দিয়ে কিছু হয়নি হবেওনা। বাংলা গানকে সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা দিবো। আমরা চেষ্টা করে যাবো যেনো বাংলা গানকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়। রুচিশীল বাংলা গান দর্শকদের উপহার দিতে চেষ্টা করবো। এসব হিন্দি টিন্দি গান থেকে যেন দর্শক ফিরে আসে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। আজ কালতো মানুষ হিন্দি সিনেমা, বিদেশি সিনেমার গান নিয়ে ব্যস্ত সেখানে আনন্দ খুঁজে পায়। আমাদেরকে ভালো কাজ উপহার দিতে হবে। দেখা যাবে এক সময় দর্শক বাংলা গানে আনন্দ খুজে পাবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো।
সঙ্গীতাঙ্গন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সময় দেবার জন্য আবারও সঙ্গীতাঙ্গনের পক্ষ থেকে জানাই একরাশ প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিন্দন শুভজন্মদিন। ফিরে আসুক জীবনে বহুবার শুভক্ষণে শুভ জন্মদিন।
সুমন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমাকে সময় দেবার জন্য সেই সাথে সঙ্গীতাঙ্গনকেও অনেক ধন্যবাদ। সঙ্গীতাঙ্গন এর দীর্ঘায়ু কামনা করি। ভাল থাকবেন।