– মোঃ মোশারফ হোসেন মুন্না।
প্রেম মানে না কোন বাধাঁ, মানেনা কোন শাসন বারণ। মনের টানে মন ছুটে যায় ভালোবাসার রঙ্গিন মঞ্চে। বয়সের ফ্রেমে আটকে থাকেনা মনের প্রেম।
‘যত দিন বাঁচি আমি
সুন্দর এ ভূবনে,
ভুলিনি ভুলবো না
তোমায় আমি জীবনে।
তুমি আমার দেহের প্রতিটি
অঙ্গ প্রতঙ্গের সাথে
থাকবে মিশে,
পারবেনা ছাড়াতে কেউ
আমাদের এই বাধন
মৃত্যু না এসে।।
এমনই এক সঙ্গীত প্রেমিকের কথা বলছি, যার বয়স এখন আর তারুণ্যে আটকে নেই। কিন্তু ভালোবাসার মনটা আছে সজীব ও তরুণ। কিন্তু আমি যেই প্রেমিকের কথা বলছি তিনি কোন মানুষের প্রেমে পড়েনি। তিনি প্রেমে পড়েছেন সঙ্গীতের। আর তাই সঙ্গীতাঙ্গন পত্রিকার দ্বিতীয় আয়োজনে শিল্পকলাকে গানের দোলায় নাচিয়ে মনকে করেছেন প্রাণবন্ত। সেই ব্যাক্তি আর কেউ নয়, তিনি হলেন দেশের প্রবীণ শিল্পীদের মধ্যে একজন যার নাম নজিবুল হক নজীব।
যার কন্ঠে গান শুনার জন্য দেশ বরেণ্যে শিল্পীসহ বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর-ও উপস্থিত ছিলেন। প্রথমেই শুরু হয় প্রার্থনার গান দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা। আর গান শেষ করোতালির মাধ্যমে সম্ভাশন জানায় সবাই। এ সময় দেশের বরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত আর সবার উদ্দেশ্যে সঙ্গীতাঙ্গনের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব আহসানুল হক তার শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তার মুখে শুনা যায় তার স্মৃতির পাতার পূরোনো কিছু গল্প ও আদর্শ অনুসরণকারী মানুষের কথা। যাদের আদর্শকে অনুসরণ করে কাটিয়ে চলছেন তার জীবন। আর তার আদর্শের মহানায়ক হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এম,পি-র কথা। যেই কথা মন্ত্রী মহোদয় শুনে রীতিমত অবাক৷ তারপর পরই গীতিকবি শেখ সাদী খান, আতিকুল ইসলামসহ আরও সঙ্গীতজ্ঞরা সঙ্গীতাঙ্গনের সঙ্গীতের অবদানসহ শিল্পী নজিবুল হক নজিবের বেশ কিছু প্রশংসা ও অবদান তুলে ধরেন। শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। উনার কথায় আহসানুল হকের স্মৃতির গল্পের কথাগুলোর প্রাপ্তি স্বিকার করেন। এবং সঙ্গীতাঙ্গন এর প্রশংসা করেন। তারপর শুরু হয় গানের উৎসব। গানের সাথে মেতে উঠে শ্রোতারা এবং শিল্পী একের এক গান পরিবেশন করেন। গানগুলো হলো – আকাশ ভরা সূর্য তারা, বিধি ডাগর আঁখি, তুমি একটু কেবল বসতে দিও, আজি নতুন রতনে ভূষণে, তোমার হাতের সোনার রাখী, তুমি অন্তহীন বিরাট এ নিখিল, কেন বাঁজাও কঙ্কন, আয়নাতে ও মুখ দেখবে, ভাবছিলাম শুধু, যদি জানতে চাও, তুমি যাবেই চলে, সেদিন চাঁদের আলো, সব তোমার জন্য, ও নদীরে একটি কথা, তুমি রোজ বিকেলে ইত্যাদি। মাননীয় মন্ত্রীও উপভোগ করেন কিছু গান। দর্শকে পরিপূর্ণ তখন পুরো অডিটোরিয়াম। প্রথমে রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে ধীরে ধীরে চলে আধুনিক গানে। গানের মাঝে মাঝেই বিরতি,তবে বিরতি পায়না শ্রোতারা। স্টেজের মনিটরে ভেসে উঠে বিভিন্ন গুরুজনের মুখে শিল্পীর প্রশংসা। এমনিভাবেই কেটে যায় সময়, তবে কাটেনা সঙ্গীতে নিয়ন্ত্রিত ধ্বনি।
সঙ্গীতাঙ্গন এর এই দ্বিতীয় আয়োজন শ্রোতাদের মন ভেসে যায় সঙ্গীতের জোয়ারে। মনমুগ্ধ হয় সঙ্গীতজ্ঞদের। তাই প্রশংসার মধুর আঠায় আটকে পরে সঙ্গীতাঙ্গন ও শিল্পী নজিবুল হক নজিব।
গানের সুরে সবার মন হারিয়ে যায় সঙ্গীতের মহনায়। যতক্ষণ গান চললো ততক্ষন শিল্পকলায় আনন্দের বন্যা বয়ে যেতে থাকে। আরো এমন পরিবেশে সঙ্গীতাঙ্গন এর সঙ্গীত সন্ধ্যা আসবে সেই অপেক্ষাতে।