– নোমান ওয়াহিদ।
২৯ জানুয়ারি, বাংলাদেশের ঘড়ির কাটায় তখন ছয়টা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট৷ লাল গালিচায় একে একে তারোকারা হেঁটে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কয়ারে জমকালো সেই ৬০তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড আসরে। নামী-দামী তারকাদের ছবি তোলার জন্য ভিড় লেগে গেছে ফটোগ্রাফারদের।
সারা বিশ্ব তাকিয়ে সেরাদের নাম জানার অপেক্ষায়। তাকিয়ে থাকতেই হবে কারণ এ যে আমেরিকার সবচেয়ে সম্মানজনক সঙ্গীত পুরস্কার ‘গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড’। যা আমেরিকার ন্যাশনাল আক্যাডেমি অফ রেকর্ডিং আর্টস এন্ড সাইন্সেস কর্তৃক প্রবর্তিত বার্ষিক পুরস্কার। সঙ্গীত শিল্পে অসাধারণ কৃতিত্ত্বের জন্য প্রদান করা হয় এই পুরুস্কারটি।
বিভিন্ন কারণে সবচেয়ে আলোচিত ছিল এবারের ৬০তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পুরুস্কার অনুষ্ঠানটি চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত। জানিয়ে দেয়া হয় সেরাদের তালিকা। যেখানে প্রথম সর্বোচ্চ ছয়টি অ্যাওয়ার্ড জিতে শীর্ষে রয়েছেন ব্রুনো মার্স এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচটি গ্র্যামি জিতেছেন কেনড্রিক ল্যামার।
দেখে নেয়া যাক এবারের ৬০তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের তালিকা:-
বছরের সেরা এ্যালবাম – টুয়েন্টি-ফোর কে ম্যাজিক – ব্রুনো মার্স।
বছরের সেরা রেকর্ড-টুয়েন্টিফোর কে ম্যাজিক – ব্রুনো মার্স।
সেরা গান ‘দ্যাট’স হোয়াট আই লাইক’-ব্রুনো মার্স।
সেরা নতুন শিল্পী – অ্যালেসিয়া কারা।
সেরা একক পারফর্মেন্স (পপ)’শেপ অব ইউ’ – এড শিরান।
সেরা গ্রুপ পারফর্মেন্স (পপ)’ফিল ইট স্টিল’ – পর্তুগাল দ্যা ম্যান।
সেরা ট্র্যাডিশনাল পপ ভোকাল এ্যালবাম ‘টনি বেনেট সেলিব্রেটস নাইনটি’।
সেরা পপ ভোকাল এ্যালবাম -এড শিরান।
সেরা ড্যান্স রেকর্ডিং – ‘টুনাইট’ – এলসিডি সাউন্ড সিস্টেম।
সো ড্যান্স/ইলেক্ট্রনিক এ্যালবাম ‘থ্রি-ডি দ্যা ক্যাটালগ’ – ক্রাফটওয়ের্কর।
সেরা কনটেম্পোরারি ইনস্ট্রুমেন্টাল এ্যালবাম ‘প্রোটোটাইপ’ – জেফ লরবার ফিউশন।
সেরা রক পারফর্মেন্স ‘ইউ ওয়ান্ট ইট ডার্কার’ – লিওনার্দ কোহেন।
সেরা মেটাল পারফর্মেন্স ‘সুলতানস কার্স’ – মাস্টোডন।
সেরা রক গান ‘রান’ – ফু ফাইটারস, সং রাইটার্স।
সেরা রক এ্যালবাম ‘এ ডিপার আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ – দ্য ওয়ার অন ড্রাগস।
সেরা অল্টারনেটিভ মিউজিক এ্যালবাম ‘স্লিপ ওয়েল বিস্ট’ – দ্যা ন্যাশনাল।
সেরা আর অ্যান্ড বি পারফর্মেন্স: ‘দ্যাটস হোয়াট আই লাইক’ – ব্রুনো মার্স।
সেরা ট্র্যাডিশনাল আর এন্ড বি পারফর্মেন্স ‘রেডবোন’ চাইল্ডিশ গ্যামবিনো।
সেরা আর এন্ড বি গান ‘দ্যাটস হোয়াট আই লাইক’ – ব্রুনো মার্স।
সেরা আরবান কনটেম্পোরারি এ্যালবাম ‘স্টারবউ’ – দ্যা উইকেন্ড।
সেরা আর অ্যান্ড বি এ্যালবাম ‘টুয়েন্টি-ফোরকে ম্যাজিক’ – ব্রুনো মার্স।
সেরা র্যাপ পারফর্মেন্স ‘হামবল’ – কেনদ্রিক লামার।
সেরা র্যাপ পারফর্মেন্স: ‘লয়ালিটি’ – কেনদ্রিক লামার ফিচারিং রিয়ান্না।
সেরা র্যাপ গান ‘হামবল’ – কে ডাকওয়ার্থ, আশেটন হোগ্যান এবং এম উইলিয়ামস টু, সং রাইটারস (কেনদ্রিক লামার)।
সেরা র্যাপ এ্যালবাম – ‘ড্যাম’ – কেনদ্রিক লামার।
সেরা কান্ট্রি সোলো পারফর্মেন্স ‘এইদার ওয়ে’ – ক্রিস স্ট্যাপলেটন।
সেরা কান্ট্রি গ্রুপ পারফর্মেন্স ‘বেটার ম্যান’ – লিটিল বিগ টাউন।
সেরা কান্ট্রি গান – ‘ব্রোকেন হালোস’ – মাইক হেন্ডারসন অ্যান্ড ক্রিস স্ট্যাপলেটন।
সেরা কান্ট্রি এ্যালবাম ‘ফ্রম এ রুম:ভলিউম ১’ – ক্রিস স্ট্যাপলেটন।
সেরা নিউ এজ এ্যালবাম ‘ড্যান্সিং অন ওয়াটার’ – পিটার ক্যাটের।
সেরা ইম্প্রোভাইজড জ্যাজ সোলো ‘মাইলস বেয়ন্ড’ – জন ম্যাকলালিন।
সেরা জ্যাজ ভোকাল এ্যালবাম ‘ড্রিমস অ্যান্ড ড্যাগারস’ – সেসিলি ম্যাকলরিন সালভ্যান্ট।
সেরা জ্যাজ ইন্সট্রুমেন্টাল এ্যালবাম ‘রিবার্থ’ – বিলি চাইল্ডস।
সেরা লার্জ জ্যাজ এনসেমবল এ্যালবাম ‘ব্রিঙ্গিং ইট’ – ক্রিশ্চিয়ান ম্যাকব্রাইড বিগ ব্যান্ড।
সেরা ল্যাটিন জ্যাজ এ্যালবাম ‘জ্যাজ টাংগো’ – পাবলো জাইগলার ট্রিও।
সেরা গসপেল পারফর্মেন্স গান ‘নেভার হ্যাভ টু বি এলোন’ – সেসে উইনান্স; ডোয়ান হিল ও অ্যালভিন লাভ থ্রি।
সেরা কনটেম্পোরারি ক্রিশ্চিয়ান মিউজিক পারফর্মেন্স/গান ‘হোয়াট এ বিউটিফুল নেম’ – হিলসং ওয়ারশিপ, বেন ফিল্ডিং ও ব্রুক লাইজারউড।
সেরা গসপেল এ্যালবাম ‘লেট দ্যামফল ইন লাভ’ – সেসে উইনানস।
সেরা কনটেম্পোরারি ক্রিশ্চিয়ান মিউজিক এ্যালবাম ‘চেইন ব্রেকার’ – জ্যাচ উইলিয়ামস।
সেরা রুটস গসপেল এ্যালবাম: ‘সিং ইট নাও: সংস অব ফেইথ অ্যান্ড হোপ’ – রেবা ম্যাকএনটায়ার।
সেরা ল্যাটিন পপ এ্যালবাম ‘এল দোরাদো’ – শাকিরা।
সেরা ল্যাটিন রক, আরবান/অলটারনেটিভ৷ এ্যালবাম ‘রেসিডেন্টে’ – রেসিডেন্টে।
সেরা রিজিওনাল মেক্সিকান মিউজিক এ্যালবাম ‘আরিএরো সমোস ভারসিওনেস আকুস্তিকাস’ – আইদা কুয়েভাস।
সেরা ট্রপিকাল ল্যাতিন এ্যালবাম ‘সালসা বিগ ব্যান্ড’।
সেরা অ্যামেরিকান রুটস পারফর্মেন্স ‘কিলার দিলার ব্লুজ’ – আলবামা শেকস।
সেরা আমেরিকান রুট গান ‘ইফ উই ওয়্যার ভ্যামপায়ারস’ – জেসন ইসবেল।
সেরা আমিরিকানা এ্যালবাম ‘দ্য নাসভিল সাউন্ড’ জেসন ইসবেল এবং দ্য ফোর হান্ড্রেড ইউনিট।
সেরা ব্লুগ্রাস এ্যালবাম যৌথভাবে ‘লজ অব গ্র্যাভিটি’ ও ‘অল দ্যা রেজ – ইন কনসার্ট ভলিউম ওয়ান’।
সেরা ওয়ার্ল্ড মিউজিক এ্যালবাম ‘শাকা জুলু রিভিজিটেড থার্টিথ অ্যানিভার্সারি সেলিব্রেশন’ – লেডিস্মিথ ব্ল্যাক মাম্বাজো।
সেরা ছোটদের এ্যালবাম ‘ফিল হোয়াট ইউ ফিল’ – লিসা লোয়েব।
সেরা কমেডি এ্যালবাম ‘দ্য এজ অব স্পিন/ডিপ ইন দ্য হার্ট অব টেক্সাস’ – ডেব চ্যাপেল।
সেরা মিউজিক থিয়েটার এ্যালবাম: ‘ডিয়ার ইভান হ্যানসেন’ – বেন প্ল্যাট।
সেরা কমপাইলেশন সাউন্ডট্র্যাক ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া: লা লা ল্যান্ড।
সেরা স্কোর সাউন্ডট্র্যাক ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া – লা লা ল্যান্ড।
সেরা সং রিটেন ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ‘হাও ফার আই উইল গো’ – লিন ম্যানুয়েল মিরান্ডা।
সেরা ইনস্ট্রুমেন্টাল কম্পোজিশন ‘থ্রি রিভল্যুশনস’ – আরতুরো ও’ফারিল।
সেরা এ্যালবাম নোটস ‘লিভ অ্যাট দ্য হুইস্কি অ্যা গো গো: দ্য কমপ্লিট রেকর্ডিংস’ – লাইনেল জর্জ।
সেরা হিস্টোরিক্যাল এ্যালবাম ‘লিওনার্দ বের্নস্টেইন- দ্য কমপোজার’ – রবার্ট রাস।
প্রডিউসার অব দ্যা ইয়ার, নন ক্লাসিক্যাল: গ্রেগ কার্স্টিন।
সেরা রিমিক্সড রেকর্ডিং: ‘ইউ মুভ (ল্যাট্রোইট রিমিক্স)’ – ডেনিস হোয়াইট।
সেরা সারাউন্ড সাউন্ড এ্যালবাম: ‘আর্লি আমেরিকানস’ – জিম অ্যান্ডারসন।
সেরা অর্কেস্ট্রাল পারফর্মেন্স: ‘সসতাকোভিচ: সিম্ফোনি নম্বর ফাইভ; বারবার: অ্যাদাগিও’ – ম্যানফ্রেড।
সেরা অপেরা রেকর্ডিং ‘ব্রেগ: ওজেক’ – হ্যানস গ্রাফ।
সেরা ক্লাসিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টাল সোলো: ‘ট্রানসেনডেন্টাল’ – দ্যানিল ট্রিফোনভ।
সেরা ক্লাসিক্যাল সোলো ভোকাল এ্যালবাম: ‘ক্রেজি গার্ল ক্রেজি’ – বারবারা হ্যানিগান।
সেরা কনটেম্পোরারি ক্লাসিক্যাল কমপোসিশন: ‘ভায়োলা কনসার্টো’ – জেনিফার হিগডন।
সেরা মিউজিক ভিডিও: ‘হামবল’ – কেনদ্রিক লামার।
সেরা মিউজিক ফিল্ম: ‘দ্যা ডিফিয়ান্ট ওয়ানস’। – নিউইয়র্ক টাইমস।