– মোঃ মোশারফ হোসেন মুন্না।
আসছে শীত। শীতের আগমনে শুভেচ্ছা জানাতে ফুটছে নতুন ফুল। বাগানে ওড়ছে ভ্রমর মধুর সন্ধানে। শিশিরের উষ্ণ পরশ বুলাতে শুরু করেছে প্রকৃতির উপর। ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাস বইছে চারদিকে। মনে করিয়ে দেয় যেন শীত এসেছে। এই শীতল বায়ুর পরশে মন কাপানোর আগেই, ছন্দের দোলায় মন কপাতে, আসছে ১০ই নভেম্বর রাজধানীর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সঙ্গীতাঙ্গন এর শুভ সঙ্গীত যাত্রার প্রথম আধুনিক গানের সঙ্গীতানুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে এক সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী লীনু বিল্লাহ তার জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করবেন। আমাদের দেশে বর্তমানে নজরুলসঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত, ফোক, বাউল, ব্যান্ড সঙ্গীত সবাইকে নিয়েই বিভিন্ন ধাচের অনুষ্ঠান নিয়মিতই হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আধুনিক গানের শিল্পীরা সে দিক থেকে একটু পিছিয়ে। সেই কথা মাথায় রেখে সঙ্গীতাঙ্গন এবার আয়োজন করেছেন আধুনিক গানের শিল্পীদের নিয়ে একক সঙ্গীত সন্ধ্যা।
এ বিষয়ে শিল্পী লিনু বিল্লাহ এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন সত্যি বলতে সঙ্গীতাঙ্গন একটি মহৎ কাজের চিন্তা মাথায় তুলেছে। তাদের আধুনিক গানের প্রথম অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে। সঙ্গীতাঙ্গনকে ধন্যবাদ জানাই যে তাদের প্রথম অনুষ্ঠান এর শিল্পী হিসেবে আমাকে নিয়েছেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে এ অনুষ্ঠান চলবে। আমরা সবাই এমন অনুষ্ঠান এর সঙ্গে থেকে সঙ্গীতাঙ্গন এর সঙ্গীত বিষয়ক সূদুরপ্রসারী চিন্তাকে সফল হতে সহযোগীতা করবো।
যাদের অনুপ্রাণনায় ও কাজে বাংলার সঙ্গীত ভূবন আজ ইতিহাসের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে তাদের প্রতিভা ও কাজের মূল্যায়নে সঙ্গীতাঙ্গন এর প্রধান সম্পাদক জনাব আহসানুল হক এক মহৎ উদ্দ্যেশ্যকে সামনে রেখে শুরু করতে যাচ্ছেন আধুনিক শিল্পীদের নিয়ে সঙ্গীতান। এ ব্যাপারে কথা হয় তার সাথে। জানা যায় তার কাছ থেকে অজানা অনেক কথা। তার কাছে সঙ্গীতাঙ্গন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ গর্ব করার দিন এসেছে।
আজ আমার আনন্দের দিন এসেছে। আমার স্বপ্ন পূরণের দিন এসেছে। আজ থেকে ২৫ বছর আগে যখন আমি সঙ্গীতাঙ্গন নামের এই পত্রিকাটি শুরু করি তখন এই পত্রিকাটি ছাড়া একমাত্র সঙ্গীত বিষয়ক আর কোন পত্রিকা ছিল না। ঐসময়টাতে মোবাইলের চলও ছিল খুব কম। বাড়িতে কেবল একটি ল্যান্ড ফোন ছিল। কখনো সেটা থেকে ফোন করে বিভিন্ন শিল্পীদের কথা জেনে নিয়ে রিপোর্ট লিখতাম এতে আমার কোন রকম সহযোগীতা কেউ করেনি এরপর থেকে অনেকেই সাহায্যে এসেছেন এবং সাংবাদিক হিসেবে এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সম্পূর্ণ বিনা লাভে আমি শুরু করেছি আজ এ পর্যন্ত এসেছি কারো কাছ থেকে কোন দিন কোন টাকা পয়সা নেইনি। শুধু একটাই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি সঙ্গীতের খবরটি যাতে সবাই পায়। যখন শুরু করি তখন আমিই ছিলাম সর্বেসর্বা। কিন্তু আজ আমার পত্রিকায় আমারই মত নিঃসার্থে কাজ করে যাচ্ছে দশ-বার জন সাংবাদিক। তারাও আমার মতই সঙ্গীতের জন্য কাজ করে। সঙ্গীতকে তাঁরা ভালোবাসে। এসব সঙ্গীত ও সঙ্গীত শিল্পীদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষেই কেবল করেছি। স্বপ্ন ছিল দেশের সঙ্গীত ও সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে কাজ করা। সেই সময় এসেছে আজ। মানুষ আজ বাংলা গান থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। দেশীয় সংস্কৃতি বাদ দিয়ে বিদেশি সংস্কৃতিকে অনুসরণ করছে। কারণ রুচি সম্মত গানের অভাব হয়ে পরেছে। দেশে বিদেশে সব ধরনের শিল্পীদের নিয়েই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্টান হয়েই চলছে। আমি চাই আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তাদেরও যাতে একটি গন্তব্য তৈরি হয়। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে আমি শুরু করেছি প্রথম সঙ্গীতানুষ্ঠান। সবাই আমার আর আমার পত্রিকার জন্য দোয়া করবেন আমার এই মহৎ উদ্দ্যেশ্য যাতে বাস্তবায়ন করতে পারি। শুধু আধুনিক শিল্পী না সব ধরনের শিল্পীদের নিয়েই ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যাবো। সবাইকে সঙ্গীতাঙ্গন এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সবার সুস্থ্য সুন্দর জীবন কামনা করি। জীবন একটি নদীর মত শ্রোত পরিবর্তন হয় যে কোন সময়। মানুষের জীবন ও তেমন শ্রোতের মত পরিবর্তনশীল। কখন কি ভাবে আর কি হয়ে যায়। স্বপ্ন দেখার চেয়ে আরো আনন্দের মুহুর্ত তখন, যখন স্বপ্ন পূরণ হয়। সঙ্গীতাঙ্গন এর জন্য শুভ কামনা রইলো।