“লালন তোমার আরশি নগর
আর কত দূর আর কত দূর,
অচেনা এক পড়শি খোঁজে
কাটলো সকাল, কাটলো দুপুর”
ভিতরটায় তার মায়াভরা, বড় যতনে অনেক আদর-ভালোবাসায় গান করেন এবং সুর করেন অনুপ ভট্টাচার্য। স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক অনুপ ভট্টাচার্য গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে গভীর পর্যবেক্ষণে আছেন। উনার অসুস্থতার খবরে মর্মাহত উনার গানের বন্ধু সকল গুণী সঙ্গীতজ্ঞরা।
অনেকদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ফুসফুসজনিত রোগে কারণে খুবই শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। শ্বাসকষ্টের তীব্রতা বেড়ে গেলে গত সপ্তাহে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রাজশাহীর এক সঙ্গীত পরিবারে শিল্পী অনুপ ভট্টাচার্যের জন্ম। খুব ছোটবেলা থেকেই গান শিখতেন তিনি। মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা শেষ করার পর উত্তরবঙ্গের প্রখ্যাত সঙ্গীতগুরু প্রয়াত হরীপদ দাসের কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারের প্রথম ব্যাচের একজন শিল্পী। রেডিওতে ১৯৬৩ সালের ১১ই মার্চ প্রথম গান করেন তিনি। এদিন একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত আর একটি আধুনিক গান দিয়ে যাত্রা শুরু হয় তার। অনেক আধুনিক গানের সুর করেছেন তিনি। এরমধ্যে বিশেষ শ্রোতাপ্রিয়তা পায় শিল্পী রফিকুল ইসলামের গাওয়া ‘বৈশাখী মেঘের কাছে জল চেয়ে’ ও মিতালী মুখার্জীর গাওয়া ‘সুখ পাখী রে’। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘নোঙর তোলো তোলো’ সহ বেশ কিছু সমবেত গানে কণ্ঠ দেন তিনি। এবং সালমার গাওয়া ‘লালন তোমার আরশি নগর’ গানের এক বিশিষ্ট সুরকার অনুপ ভট্টাচার্য।
আমরা এই গুণী সঙ্গীতজ্ঞের অরোগ্য কামনা করি। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।